চতুর্থবারও আ.লীগ ক্ষমতায় আসবে - কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ চাইলে চতুর্থবারও আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের পতন চায়। সরকারের পতন জনগণের ইচ্ছায় হবে; বিএনপির ইচ্ছায় নয়। বিএনপির ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসেনি। জনগণ চাইলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।

আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ডিসেম্বরে মাসব্যাপী কর্মসূচির কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় কর্মসূচি। তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, আলোকসজ্জাসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি চলবে। সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সাথে মিলে নিজস্ব কর্মসূচি নেবে। ব্যানার-ফেস্টুন যাতে শুধুমাত্র ব্যক্তির আত্মপ্রচারের জন্য না হয়। দলের নামে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড করেন। 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেপরোয়া গাড়ি যেমন দুর্ঘটনার কারণ, বেপরোয়া পথচারীও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। মোটরসাইকেল চলকরাও আলেকজান্ডারের মত ছুটছে তো ছুটছেই, এরাও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাই সড়ক পরিবহন আইনে কোনো শিথিলতা আসছে না।  

তিনি বলেন, গণপরিবহনে হাফ ভাড়া আগে থেকেই কার্যকর ছিলো। মাঝে শিথিলতা দেখা গেছে। সরকার বিআরটিসি বাসে ছাত্রছাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে বেসরকারি বাস মালিকরা হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তারা বছরের পরে বছর মামলা পিছিয়েছে, পরে দন্ডিত হয়েছে, এজন্য তারাই দায়ী। বিচার বিভাগ স্বাধীন, আদালত যে রায় দেবে তা মানতে হবে, আইন মানতে হবে, কিন্তু বিএনপি আইন আদালত কিছুই মানতে চায় না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের সম্মতিতে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করে হত্যার বিচার রুদ্ধ করেছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে দন্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় থাকতে দিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দিয়েছে, এর চেয়ে বেশি বিএনপি কিভাবে আশা করে? 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার সৎসাহস আওয়ামী লীগের আছে। আমরা ভুলগুলো খুঁজে বের করে সতর্ক হচ্ছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এদেশে কখনো শান্তিপূর্ণ হয়নি। তবে এতে শেখ হাসিনা সরকারের নজর আছে যারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, নির্বাচনকে ঘিরে অপরাধ করেছে তারা কেউ পার পাবে না। 

তিনি বলেন, বিএনপি ঘোমটা পরে ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করছে। তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের ওপর ভর করে মারামারি হানাহানি সৃষ্টি করছে। তৃণমূল থেকে অনেক সময় ভুল নাম আসে, কখনো কখনো বিভিন্ন প্রভাবের কারণে বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টও প্রভাবিত হয়, ফলে ভুল আসে।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সর্বোচ্চ ছিলো। একজন নির্বাচন কমিশনারও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে পার্টিসিপেশন মূল কথা। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড পার্টিসিপেশন হয়েছে।  সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান প্রমুখ।