খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি পুরণে খুলনার নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত - মঞ্জু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৯ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, অবৈধ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। সরকারের ইশারায় উচ্চ আদালতের জামিন না দেয়ায় তিনি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে একদিন অবৈধ সরকারকেও আইনের মুখোমুখি হতে হবে। যদি খালেদা জিয়াকে বাঁচতে দেয়া না হয়, তাহলে এই সরকারও বাঁচতে পারবে না। অতীতের আন্দোলন আর এখনকার আন্দোলন এক রকম হবে না, কারণ প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোসহীন নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগীয় সদরে ৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি পুরণে এবং নেত্রীর ঋণ শোধ করতে খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত আছে। মঙ্গলবারের সমাবেশ হবে স্মরনকালের বড় সমাবেশ; সমাবেশ সফল করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় বেধে মাঠে থাকবে। সমাবেশে কোন ধরনের বাধা আসলে পরিনাম শুভ হবে না। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. নিতাই চন্দ্র রায় ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবর রহমান সরোয়ার। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে হাদিস পার্ক অথবা কেডি ঘোষ রোডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত সময় বেলা ১১টার পরিবর্তে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। দলের প্রিয় নেত্রীর চিকিৎসার দাবিতে মানবিক কর্মসূচিতে কেএমপি ও সিটি কর্পোরেশন অনুমতি প্রদান করবেন অশাবাদ ব্যক্ত করে বিগত ২২ নভেম্বরের সমাবেশে পুলিশের তান্ডবে প্রায় দুই শতাধিক কর্মি আহত হয়েছেন বলে সাবেক সাংসদ মঞ্জু বলেন, প্রথম ঘোষণায় ৭১জন আহত হওয়ায় কথা থাকলেও ওয়ার্ড পর্যায়ে আহতদের দেখতে যেয়ে আমরা হতবাক হয়েছি। আহতদের সংখ্যা অনেক বেশী ও নৃশংসতার বিভৎসরূপ আনেক বড়। কারাগারে আটক ৭জন এখনও মুক্ত হয়নি। তিনি আশা করেন পুলিশ বিএনপির মানবিক কর্মসূচিতে ঝাপিয়ে পড়বেন না এবং নির্দয় আচারণ করবেন না। ২২ নভেম্বরের সমাবেশে পুলিশের হামলা ও অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় খুলনার জনগণ ব্যাথা পেয়েছে এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদের খোঁজখবর নিয়েছে। মঞ্জু তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে দেশনেত্রীর মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার আন্দোলন এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাইলে, বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য পাঠাতে চাইলে একমাত্র পথ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। রাজপথে নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এখন আর বসে থাকলে চলবে না উল্লেখ করে খুলনাবাসিকে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান।
দেশের মানুষ তাদের সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। সেজন্যই গণতন্ত্রের আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে আমাদের জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি নির্দয় হবে না। মানবিক কারনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভা ও যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা ও জেলা সাধারন সম্পাদক আমির এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, এড. ফজলে হালিম লিটন, রেহেনা ঈসা, শাহজালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, এস এ রহমান বাবলু, মোল্লা সাইফুর রহমান মিন্টু, আব্দুর রকিব মল্লিক, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, আবু হোসেন বাবু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শামসুল আলম পিন্টু, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, মজিবর রহমান ফয়েজ, মুর্শিদুর রহমান লিটন, ওয়াহিদুর রহমান রানা, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, রবিউল হোসেন, সেলিম সরদার, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শেখ আবুল বাশার, খন্দকার ফারুক হোসেন, শেখ সরোয়ার হোসেন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবু সাঈদ শেখ, কাজী মিজানুর রহমান, আনিসুর রহমান, ওয়াজউদ্দিন সান্টু, গোলাম কিবরিয়া আশা, হেমায়েত হোসেন, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, আফসার উদ্দিন মাষ্টার, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, শরিফুল আনাম, হাফিজুর রহমান মনি, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দীন মিজু, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসলাম হোসেন, নাসির খান, জাহিদ কামাল টিটো, আলমগীর হোসেন বাদশা, আ. রহমান, মোস্তফা কামাল, আব্দুল জব্বার, কাজী মাহমুদ আলী, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, আব্দুস সালাম, সামসুল বারী পান্না, রাহাত আলী লাচ্চু, তানভীরুল আজম রুম্মন, এনামুল হক সজল, ওয়াহিদুর রহমান নান্না, মোল্লা কবির হোসেন, জিএম মঈন উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকারিয়া লিটন, ডা. ফারুক হোসেন, নুরে আলম, লিটু পাটোয়ারি, কাজী একরাম মিন্টু, সৈয়দ গাজী, শাহাবুদ্দিন, নুরুল ইসলাম লিটন, শাকিল আহমেদ, সেলিম বড় মিয়া, বাবুল মুন্সি, শামীম আশরাফ, আবু তালেব, রাজু মোল্লা, সেলিম গাজী, শামীম খান, বাকার বকসী, মশিউর রহমান লিটন, নজরুল মোড়ল, মনিরুজ্জামান লেলিন, কওসারী জাহান মঞ্জু, এস এম মারুফ প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনের আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবেশ সফল করতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।