আজ শহীদ ডা. মিলন দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
গতকাল শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বলা হয়, ‘শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন ৮০-এর দশকে স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ডা. মিলনের আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তাঁর শাহাদাতবার্ষিকীতে আমি তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করি। স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে ডা. মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।
আমাদের কষ্টার্জিত ও রক্তস্নাত গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর নিশিরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দুঃস্বপ্ন এখন ভয়াল রূপ ধারণ করে বাস্তব রূপ লাভ করেছে।
গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।’
শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আমি ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন পালন করেছিলেন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা। তাঁর আত্মদানের মধ্য দিয়ে নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়।
স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়। বর্তমান সরকার বিগত ১২ বছর ধরে আবারও মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করেছে। দেশের মানুষ তাদের সকল অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
এখন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার মাধ্যমেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। সে জন্যই প্রথমে আমাদের গণতন্ত্রের আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে আমাদের জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা জোগাবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এইদিনে আমি ডা. মিলনসহ শহীদদের রক্তস্নাত হারানো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সকলের প্রতি আহবান জানাই।’