সোনারগাঁওয়ে আ.লীগ-জাতীয় পার্টির দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৬ এএম, ২৬ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় নৌকার প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে লাঙ্গল প্রার্থীর সমর্থকরা।
আগামী ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পরে অস্ত্রসহ পারভেজ নামে এক যুবককে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি গাড়ীও ভাঙ্চুর করা হয়। খবর পেয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এলাকাবাসী জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম মাকসুদ ভুইয়া তার নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনায় বের হন। পথে বস্তল এলাকায় এলে নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ীর পথরোধ করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার নেতাকর্মীদের আহত করে। এ সময় নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ীসহ কয়েকটি গাড়ী ভাঙ্চুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে জামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে আসেন। তখন হুমায়ুন কবিরকে লক্ষ্য করে মাকসুদ ভুইয়ার সমর্থক একজন অস্ত্রধারী গুলি করেন। এতে হুমায়ুন কবির অল্পের জন্য বেঁচে যান। এ সংবাদে হুমায়ুন কবিরের সাথে থাকা নেতাকর্মীরা মাকসুদ আলমের সমর্থকদের ওপর আবার হামলা চালালে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অস্ত্রধারীসহ উভয় পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ আট থেকে ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও থানার ওসি হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টার করেন।
এদিকে সন্ধ্যায় খবর পেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাকসুদ আলমের লোকজন পাকুন্ডা এলাকায় নৌকার কয়েকটি ক্যাম্প ভাঙ্চুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্রধারী পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, জামপুরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অস্ত্রধারী পারভেজকে আটক করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, দুই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জামপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।