খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২২ এএম, ২৫ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে একটি মহল ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ গুজবগুলো..। কালকে আপনাদেরকে বলছি, এ গুজবের কোনো ভিত্তি নাই। ম্যাডামের বিষয়ে আপনারা সরাসরি আমাকে ফোন করবেন আমি আপনাদেরকে জানাবো। এগুলো একদম গুজব। আজকে এখনো কিছু গুজব ছড়াচ্ছে। আমার মনে হয় যে, এটা অত্যন্ত কৌশলে কোনো মহল এই গুজবগুলো ছড়াচ্ছে অসৎ উদ্দেশ্যে। গতকাল রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় নিয়ে নানারকম ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রচার হয়। এতে সারাদেশের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় বিভিন্ন পরিচিত জনের কাছে টেলিফোন করে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো তিনি ওই অবস্থাতেই আছেন। স্টেয়ার ইজ ভেরি ক্রিটিক্যাল। ডাক্তার সাহেবরা মনিটর করছেন, তাঁকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের পক্ষে যেটা সম্ভব সেটা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা তারা করছে। সারাদেশে রেড এলার্ট জারি হয়েছে এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো কোথায় পান আপনারা? রেড এলার্ট কোথায় পেলেন আপনারা? হোয়ার? এখানে সরকার কি কোনো বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে? আমি দেখিনি।
কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডামের মুক্তি ও তাঁর বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আমরা আপাতত এই কর্মসূচি শুরু ?করছি কাল বৃহস্পতিবার থেকে। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কেমন থাকছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপরে। প্রয়োজনে এই কর্মসূচি পরিবর্তন হতে পারে। সেটা আমরা যখন প্রয়োজন হবে সে সময়ে আমরা জানাবো। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে খুলনা, নরসিংদী, নাটোর, সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ বিভিন্ন স্থানে গত ২২ নভেম্বর সমাবেশের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা ও হামলার ঘটনার নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব।
আজ বুধবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথসভায় বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহবাহক আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুহম্মদ মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দল সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ওলামা দল আহবায়ক মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দল আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দল আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, মৎস্যজীবী দল সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, তাঁতী দল সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, ওলামা দল সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা দল সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ লিয়াকত আলী, শ্রমিক দল নেতা মোস্তাফিজুল করিম মজুমদারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।