খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রেখে অপচিকিৎসা করা হয়েছে, এই ভয়ে তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না - এড. তৈমুর আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২২ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, দুটি কারনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। হয়ত তাকে জেলখানায় রেখে অপচিকিৎসা করা হয়েছে। দেশনেত্রী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিলে শেখ হাসিনা অপচিকিৎসার গোমর ফাঁস হয়ে যাবে এই ভয়ে তাকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার কারনে তিনি দিন দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তিনি বলেন, একদিন ক্ষমতায় আপনিও থাকবেন না, আপনাদেরও হাইকোর্টের বারান্দায় জামিনের জন্য দাড়াতে হবে। আপনাদের চিকিৎসার জন্য আবেদন করতে হবে। আমরা কথা দিচ্ছি, আপনার যখন চিকিৎসার প্রয়োজন হবে তখন আপনার সাথে এরূপ আচরণ করা হবে না। আপনারা যে আচরণ করেছেন আমরা সেরকম আচরণ করবো না।
আজ সোমবার খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল তিনটায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে যোগ দিতে আশেপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করলে তাদের নিবৃত্ত করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নেতাদের। পরে প্রেস ক্লাবের পাশে চাষাঢ়া বালুরমাট এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা।
এসময় তৈমুর বলেন, আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। নিজ পছন্দ মত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা কিছু হলেই বিদেশে চলে যায় চিকিৎসার জন্য। বাংলাদেশের চিকিৎসা যদি এত উন্নতই হত তবে হাজার হাজার লোক মন্ত্রী মিনিস্টাররা কেন দেশের বাইরে যান চিকিৎসার জন্য।
তিনি বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। পাকিস্তান আমলে দেখেছি ভুট্টো বলেছিল, উই কেন নট গো বিওন্ড দা কনস্টিটিউশন অফ পাকিস্তান। সে বলেছিল আমরা পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার বাইরে যেতে পারি না। ঠিক সেই ভাষায়, সেই চোহারা নিয়ে আনুসল হক বলে আইনে বাধা, যেতে পারবেন না। আইন কী এটার ব্যাখ্যা আমরা জানি। আপনারা আমাকে বলতে শোনেন আমি বিভিন্ন টকশোতে ব্যাখ্যা দিচ্ছি। আইনমন্ত্রী মহদোয়কে বলছি, আপনি যদি পারেন এর ব্যাখ্যা দেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আপনি সংবিধানের ১৪৮ ধারা মোতাবেক শপথ নিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে আপনি যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু সংবিধানের ১৪৮ ধারা মোতাবেক আপনি আপনার মন মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এভরি একশন হ্যাজ এ অপজিট রিএ্যাকশন। সে রিএ্যাকশনে আপনারাও পড়বেন।
সমাবেশ শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য-রোগমুক্তি কামনা করে মোনাজাতে দোয়া করেন তৈমুর। এসময় নেতাকর্মীরা নেত্রীর কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য দোয়া চেয়ে মাতম করতে থাকেন। এসময় মোনাজাতে তৈমুর বলেন, আল্লাহ আপনি সর্বশক্তিমান। আপনি আমাদের নেত্রীকে সুস্থ করে দিন এবং দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার তৌফিক দান করেন।
এসময় উল্লেখ্যযোগ্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন, বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, খন্দকার মনিরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম রবি, জাহিদ হাসান রোজেল, রুহুল আমিন সিকদার, আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরিফ মায়া প্রমুখ।