বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:৪০ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের কিছুটা উত্তেজনার তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয় যানজটের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এই সমাবেশ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি এই দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। সে অনুযায়ী আজ বেলা ১১টায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১০টা থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতা–কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সে সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হয় বিএনপি কর্মীদের।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এস এম শামীম 'বলেন জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যারা বিশৃঙ্খল তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে বলেছি। এর বাইরে কিছুই হয়নি'।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে প্রেসক্লাবের আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিএনপির নেতা–কর্মীদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ের পশ্চিম সড়ক হয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতা–কর্মীরা বাধা অতিক্রম করে এগোতে চাইলে পুলিশ তাঁদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশকে এ সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় বিএনপির নেতা–কর্মীরা চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে সমাবেশস্থল থেকে মাইকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এর পাঁচ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষ শেষে প্রেসক্লাবের বাইরে বিএনপির সমাবেশ আবার শুরু হয়েছে।
আজ সকাল থেকে প্রেসক্লাবে ঢোকার সব গেট বন্ধ ছিল। সংঘর্ষ শেষ হলে পূর্ব পাশের গেট খুলে দেওয়া হয়। প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে বিএনপির অনেক নেতা–কর্মী অবস্থান নিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।