যুক্তরাজ্যে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতি শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ২১ নভেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র সুস্থতা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৭তম জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে লন্ডনের ওসমানী সেন্টারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণত সম্পাদক কয়সর এম আহমদের পরিচালনায় এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল দোয়া মাহফিল এবং দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবনতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান, বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব জনাব খায়রুল কবির খোকন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দীন স্বপন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ সভাপতি সলিসিটর মো: ইকরামুল হক মজুমদার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারবেজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজবাউজ্জামান সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড: মজিব সহ অংশ গ্রহন করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমুহের কেন্দ্রীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, নিশি রাতের অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী তার পাতানো সাংবাধিক সম্মেলনে "মারে আল্লাহ্ রাখে কে" এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকার প্রধান হিসাবে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ জনপ্রিয় নেত্রী ও মৃত্যুর পথ যাত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে হিংস্র মনোভাবাত্ব বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশের পবিত্র সংবিধান লংঘন করেছেন। এই জন্য তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনেই বিচার হওয়া উচিৎ।
সলিসিটর মো: ইকরামুল হক মজুমদার তার বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনা সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদ কে বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কড়া সমালোচনা করে বলেন শহীদ জিয়ার গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতারাই ফারুক এবং রশিদ গংদের নিরাপদে দেশ ত্যাগ করার সুযোগ করে দিয়েছিল ৫ই নভেম্বর ১৯৭৫ সালে। শহীদ জিয়া খুনিদের কখনো দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে দেননি। তিনি বলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর এরশাদ ফারুক-রশিদ চক্রের নেতৃত্বাধীন খুনি চক্রকে দেশে ফিরিয়ে এনে খুনিদের দ্বারা গঠিত দুটি রাজনৈতিক দল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি (প্রগশ) ও ফ্রিডম পার্টি ঘঠন করার সুযোগ দিয়ে তাদেরকে সর্বপ্রথম রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিলেন।
১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এরশাদ উর্দি খুলে প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৬ প্রার্থীর মধ্যে খুনি ফারুক অন্যতম। খুনি ফারুক নিশ্চয়ই এরশাদকে হারাতে প্রার্থী হননি। এটা ছিল রাজনৈতিকভাবে তাঁর পুনর্বাসিত হওয়া, পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশের মাটিতে তাঁরই গড়া ‘রাজনৈতিক দলের’ জাতীয় রাজনৈতিক মঞ্চে অনুপ্রবেশের ইচ্ছাপূরণ।
সলিসিটর মজুমদার আরো বলেন, ১৯৮৮-র সংসদে শেখ হাসিনার শক্তিশালী উপস্থিতিতে এরশাদ সেটাই করে দেখিয়েছিলেন। ফ্রিডম পার্টির দুজনকে জিতিয়ে ‘তৃতীয় বৃহত্তম’ বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হয়। এমনকি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত রেডিও-টিভিতে পঁচাত্তরের পর সম্প্রচারিত হয় খুনিকণ্ঠ। রশিদ তাঁর দীর্ঘ ভাষণে (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮) কথিত আগস্ট বিপ্লবের মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন মার্কিন সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির স্টাফ পিটার গেলব্রেইথের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এরশাদ সৈয়দ ফারুক রহমান ও আবদুর রশিদকে দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন করেছেন এবং ফারুককে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে দিয়েছেন। ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হিসেবে বজলুল হুদা’ ৮৮-র সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ থেকে নির্বাচিত হলেন কিন্তু তার কোন কিছুই হলো না। তাহলে কি এটাই প্রমানিত হয়না যে বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে শেখ হাসিনার উক্তিটি মিথ্যা।
তিনি দ্যার্থহীন ভাবে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরাই শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদেরকে ১৯৭৫ বাঁচিয়ে দিয়েছিল এবং তাদেরকে দেশে ফেরত এনেছিল এরশাদ এবং শেখ হাসিনা মিলেই তাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার সহয়তা করেছিলো, শহীদ জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নয়।