ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানাধীন ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানাধীন ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী, ডাকসু'র সাবেক ভিপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক জনাব আমান উল্লাহ আমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনাব আমিনুল হক। 

আজ বুধবার পল্লবী'র ই-ব্লকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক ও সাংগঠনিক টীম প্রধান মোঃ মোস্তফা জামান, সদস্য গোলাম কিবরিয়া মাখন, মাহবুব আলম মন্টু, মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, আমজাদ হোসেন মোল্লা প্রমূখ।

কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন পল্লবী থানা বিএনপি'র সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন, পল্লবী থানা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ মল্লিক।

বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আমানউল্লাহ আমান, পল্লবী থানাধীন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মেহেরুন্নেসা হক।  

প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে জনাব আমান উল্লাহ আমান বলেন, "তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠাতে হবে, যদি পাঠানো না হয় তাহলে সকল দায়ভার এই সরকারকে নিতে হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছি।

পুলিশ নিরপেক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগ বিএনপি-কে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখে না। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শতকরা ৯৫ ভাগ ভোট পাবে বিএনপি, এতে কোন সন্দেহ নেই। সকল ভেদাভেদ ভুলে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে, শেখ হাসিনার অধীনে এই দেশে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হতে দেব না ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনার পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই আওয়ামী অবৈধ সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদেরকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।"

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জনাব আমিনুল হক বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত করতে আওয়ামী সরকারকে বাধ্য করার সংগ্রামে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আদায় ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না। এজন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে হবে।

তারেক রহমানের ভাষায় তিনি আরও বলেন, পেছনে জেলখানা সামনে ক্ষমতা, আপনারা বাসায় বসে থাকলে এই ভোটারবিহীন সরকার আপনাদেরকে টেনে হিঁচড়ে জেলে নিয়ে যাবে, আর যদি রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেন তাহলে ক্ষমতায় যাবেন। যারা রাজপথে থাকবেন তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা হবে।