আ’লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ এএম, ১৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:২৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় পাঁচজনকেই খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। কারণ অপরাধীরা ক্ষমতাধর। তাই নারী জাতিকে অপমান করে এদের খালাস দেয়া হয়েছে। এ ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না।
আজ শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ১৫ আগস্ট কে ঘটিয়েছে? খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন, এটাই ইতিহাস। আর দোষারোপ করেন মেজর জিয়াকে।
জিয়াউর রহমানের নাম দেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো প্রয়োজন। বেগম জিয়ার ভাই আবেদন করেছিলেন। কিছুদিন আগে মন্ত্রী সাহেবরা যেভাবে কথা বললেন, আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম বোধহয় অনুমতি পাওয়া যাবে। কিন্তু দেয়নি, এতোই প্রতিহিংসা। এই প্রতিহিংসার আগুনে আওয়ামী লীগ গোটা দেশ ছারখার করে দিয়েছে। এ জন্য কথাটা বলেছিলামÑ রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়।
স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন, বড় বড় রামদা-ছুরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। চিন্তা করা যায়? আবার মন্ত্রীরা বলছেন এটা তেমন কিছু না, একটু সাধারণ ঝগড়াঝাটি। নির্বাচন কমিশন বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই ভদ্র লোকের লজ্জাশরম বলতে কিছু নেই। এই বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে তিনি ধ্বংস করলেন এবং নির্বাচনের যে চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি, সেটা ধূলিসাৎ করে দিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, এ ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভেবে লাভ নেই। এসব কিছুর মূলে সরকার, সবকিছুর মূলে শেখ হাসিনা। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে, রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে, মুক্ত চিন্তা-ভাবনাকে নির্বাসিত করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, এখানে আর কেউ রাজনীতি করবে না, তারা বি-রাজনীতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে থাকবে। দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করবে।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।