বিশ্বের ১০০ দেশের গণতন্ত্র সভায় নেই বাংলাদেশ : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৯ পিএম, ১২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন দেশে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে কথা বলাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, আমাদের দেশের নেতা বাইরে গিয়ে কথা বললে দুঃখের কিছু নেই। কিন্তু তার দেশে তিনি কী করছেন, তার দেশের মানুষ কেমন আছেন?—এটা ভাবার বিষয়। আজকে কষ্টের বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গণতন্ত্র সভা ডেকেছেন ১০০ দেশকে নিয়ে। সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই।
আজ শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত "দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের অবদান"-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এরা ইতিহাস বিকৃত করছে সমানে। এই ১৫ আগস্ট কে ঘটিয়ছে? খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন মন্ত্রী সভায় শপথ নিয়েছেন। এটাই ইতিহাস। আর দোষারোপ করেন মেজর জিয়াকে।
তিনি বলেন, হাজার চেষ্টা করেও জিয়াউর রহমানের নাম এ দেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমান এ এদেশের মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) দ্বায়িত্ব ছিল গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। অথচ আপনারা বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে বাতিল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছিলেন আগে। আর এবার কী করলেন? যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটা নির্বাচন হয়ে গেলো সুষ্ঠুভাবে, সেই ব্যবস্থাকে বাতিল করলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। গতকাল রেইনট্রির ধর্ষণ মামলার রায়ে অপরাধীদের খালাস দেওয়া হয়েছে। কারণ অপরাধীরা ক্ষমতাধর। নারী জাতিকে অপমান করে এদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী পার্টি মহাসচিব আবুল কাশেম, জাগপা প্রেসিডয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমান, আলহাজ্ব রকিবউদ্দিন চৌধুরী মুন্না, প্রিনিস্পাল হুমিায়ূন কবির, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, ধর্ম ভিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মহানগর সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ, যুব নেতা মীর আমীর হোসেন আমু, মীর ইসহাক, ছাত্রনেতা আশিক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, ফ্যাসীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। আগামী দিনে যে কোন আন্দোললে জনগণের সম্পৃক্ত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকার পরাজিত হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, জনগণ যদি তার মনের কথা ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে তাহলে শাসক দলের পরাজয় অনিবার্য।