জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লাকসামের বিএনপি নেতা মনির আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ১২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লাকসামের বিএনপি নেতা সাংবাদিক মনির আহমেদ। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ হার্টের রোগ সহ নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় মনিরের অবস্থা বর্তমানে খুবই সঙ্কটাপন্ন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) আছরের নামাজ পড়ার পর হঠাৎ নিজ বসত ঘরে মাথাঘুরে পড়ে যান মনির। এরপর এম্বুলেন্সযোগে মনিরকে প্রথমে মমতাময়ী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. রিয়াজের পরামর্শে তাঁকে কুমিল্লা জেলা সদরে অবস্থিত গোমতী হাসপাতালের চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজী বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান স্নায়ুরোগ (ব্রেইন) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হাসান চৌধুরীর তত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত এমআরআই, সিটিস্কেন, ইসিজি, ইকো সহ মনিরের প্রায় ১৮ টি পরীক্ষা করা হয়। তবে তার কোন রিপোর্টই সন্তোষজনক নয়। মনিরের শরীরের নিম্নাংশ, পিঠ এবং ঘাড় সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে গেছে। সে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছেনা।
এমতাবস্থায় ডা. নাজমুল হাসান চৌধুরী দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার যেকোন হাসপাতালে মনিরকে আইসিইউ সাপোর্টে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অনেকটাই মানবেতর অবস্থায় থাকা মনিরকে দেখতে গোমতি হাসপাতালে গেলে তিনি বলেন, "বয়স হয়েছে, অসুখ বিসুখতো হবেই। আর মৃত্যুতো সবার জন্যই অবধারিত। আমি সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখি। তবে আমার বিশ্বাস আমি অতি দ্রুত সেরে উঠবো, দয়াময় আল্লাহ নিশ্চয়ই আমার প্রতি সদয় হবেন। সুস্থতার জন্য আমি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।"
বিএনপির রাজনীতির পাশাপাশি মনির আহমেদ দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃক প্রকাশিত দেশের প্রাচীনতম সংবাদপত্র, "দৈনিক দিনকালর" লাকসাম উপজেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।
৪৫ বছর বয়স্ক মনির গতবছর তার লিভারের পাশে প্রদাহজনিত কারনে ক্ষত হওয়া একটি স্থানে ল্যাপোরস্কপি অপারেশন করান। ওই সময় প্রথম দফার অস্ত্র পাচারের পর ক্ষতস্থানের অপারেশনের স্থান জোরে হাঁচি দেয়ার কারনে ফেটে যায়। দ্বিতীয় দফায় পুনরায় অস্ত্রপাচারেরর পর অপারেশনটি সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে তিনি বেশ কিছুদিন সুস্থ ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মনির মহামারী করোনায় আক্রান্ত হন। তার ফুসফুসের ৬০ শতাংশ মহামারী করোনা দখল করে নেয়। ওই সময়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে তিনি রাজধানীর মহাখালীস্থ করোনার বিশেষায়িত হসপিটাল ডিএনসিসিতে গিয়ে প্রায় ১২ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থতা ফিরে পান। মূলত করোনা পরবর্তী সময় থেকে মনিরের শরীরে অন্যান্য সমস্যা গুলো মারাত্বক ভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে মনিরের স্বাস্থ্যের মারাত্বক অবনতির সংবাদে জেলা বিএনপি সহ লাকসাম পৌরসভা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দ্রুত সুস্থতার জন্য মনিরের পরিবারের সদস্যরা দলমত নির্বিশেষে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।