জাতীয় দুর্যোগে, গনতন্ত্রের সঙ্কটে, দলের দুঃসময়ে এস এম মোর্শেদ আলম এখন পাহারাদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৪ এএম, ৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, রাজনীতি ত্যাগের-ভোগের নয়, আক্ষেপের নয়-সংগ্রামের, রাজপথের রাজনীতিই যার উপজীব্য সেরকম একজন অনুকরনীয় রাজনীতিক ছিলেন বিএনপি নেতা এস এম মোর্শেদ আলম। আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদী রাজনীতিই ছিল তাঁন ধ্যান-জ্ঞানে। মোর্শেদ আলম ছিলেন একটি বিস্তীর্ন জনপদের অসংখ্য নেতাকর্মির নির্ভরযোগ্য অভিভাবক। জাতীয় দুর্যোগে, গনতন্ত্রের সঙ্কটে, দলের দুঃসময়ে তিনি পাহারাদারের ভুমিকা পালন করেছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাহসের ঠিকানা ছিলেন মোর্শেদ আলম। একজন সর্বত্যাগী মানুষ মোর্শেদ আলমের শুন্যতা আজও পুরন হয়নি।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সংগ্রামী সহ-সভাপতি মরহুম এস এম মোরশেদ আলমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মঞ্জু আরো বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে আসছে। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম শতকরা ২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা করেছে। এলপি গ্যাসের দাম ৪.২৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১২ কেজির মূল ১২৫৯ টাকা থেকে ১৩১৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। এলপি গ্যাসের মূল্য গত ৪ মাসে ৪৭.৩৬ শতাংশ বাড়িয়েছে।
আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসা ও কলহ চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি তথা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। সেই কারণেই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধা করে না। অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে নুতন করে শপথ নিতে হবে, সেক্ষেত্রে সবাইকে মরহুম এস এম মোরশেদ আলমের মত ত্যাগী নিষ্ঠাবান ও সাহসী হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন এড. বজলুর রহমান, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, মজিবর রহমান, সাদিকুর রহমান সবুজ, মো. শাহজাহান, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবু সাঈদ শেখ, জহর মীর, বদরুল আনাম, শেখ জামিরুল ইসলাম, আফসার উদ্দিন মাষ্টার, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, মহিউদ্দিন টারজান, মাহবুব হোসেন, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মোস্তফা কামাল, আব্দুল মতিন, বাচ্চু মীর, রিয়াজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ আলী, সায়মুন ইসলাম রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর হোসেন, কাজী মাহমুদ আলী, ডা. ফারুক হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, লিটু পটোয়ারী, হুমায়ুন কবির, হেদায়েত হোসেন হেদু, নূরে আব্দুল্লাহ, খান মঈনুল হাসান মিঠু, তরিকুল আলম তুষার, মনিরুল ইসলাম, ওহেদুজ্জামান, মাসুদ খান বাদল, ডা. আব্দুস সালাম, রোকেয়া ফারুক, সেলিম বড় মিয়া, সাকিল আহমেদ, আকবর হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, শামীম আশরাফ, গোলাম নবী ডালু, মোল্যা আলী আহমেদ, ডা. হালিম মোড়ল, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আমিন হোসেন মিঠু, মেজবাউল আলম, আলমগীর ব্যাপারী, সাজ্জাত হোসেন জিতু, এমরান হোসেন, ন্যান্সি প্রমুখ। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।