খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে সরকার গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছেন-গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৪ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০১:০৮ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখে সরকার দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের পরিবর্তনের জন্য মাঠে নামতে হবে, আমাদেরকে এক হতে হবে, এক হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল এগিয়ে যাবে। বিএনপিকে ছেড়ে জনগণ কখনো ছেড়ে যায়নি, যাবেও না। কারণ জনগন মনে করে বিএনপি একটি মাত্র দল যেটা দেশের দল, একটি মাত্র দল যেটা দেশের কথা বলে, একটি মাত্র দল যেটা গণতন্ত্রের কথা বলে, একটি মাত্র দল যারা লুটপাট করে অর্থ সম্পদ বিদেশে পাচার করে না।
আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
এর আগে সকাল ১১টায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং মরহুম নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতা দখলে রাখতে সরকার বিদেশি শক্তিকে সন্তুষ্ট করছে বলে অভিযোগ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার জন্য। বাইরের শক্তিকে তারা (সরকার) সন্তুষ্ট করে, জনগণকে বঞ্চিত করে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অনেকটা জবরদখলের মতো আছে এবং এটাকে দীর্ঘমেয়াদি করার জন্যই আরো বিদেশি স্বার্থে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। এটা স্বাধীনতা নয়। বিএনপি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কারো সাথে বন্ধুত্ব করে না।
তিনি বলেন, বিজয়ের এই মাসে আমি বলব, আমাদের এই বিজয় এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। আমরা হয়তো পতাকা পেয়েছি, আমরা জাতীয় সঙ্গীত পেয়েছি, আমরা একটি ভৌগোলিক অবস্থান পেয়েছি কিন্তু এখনো আমরা সার্বভৌম না। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারি না, পরদেশের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। যেদিন আমরা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবো, যেদিন আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবো। সেইদিন শহীদ জিয়াসহ শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর যোগ্যতা আমরা অর্জন করবো।
নয়াপল্টনে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর এই অনুষ্ঠানে জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ, জাসাস নেতা আহসান উল্লাহ চৌধুরী, মীর সানাউল হক, শাহরিন ইসলাম শায়লা, লিয়াকত আলী, আরিফুর রহমান মোল্লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন রোকন, আমিনুল হক, রফিকুল ইসলাম স্বপন, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেইন মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।