আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নাটোরের গুরুদাসপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করেছেন আলাউদ্দিন মাঝি। সংঘর্ষের সময় শিহাব নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মহারাজপুর এলাকার সোহেল রানা ও তার সমর্থকদের সাথে একই এলাকার সিহাব- ইলিয়াস হোসেন ও তার সমর্থকদের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। সেই জেরে ১ নভেম্বর সোমবার রাতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালে দুুই গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয় এবং বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
সোহেল রানার সমর্থক মামলার বাদী আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ইলিয়াস- মিন্টু বিশ্বাস ও সিহাবের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর চালিয়ে আওয়ামীলীগের অফিসেও ভাংচুর করা হয়। তাছাড়াও তাদের অন্তত ৭জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ইলিয়াস-সিহাব সমর্থকরা।
সিহাব-ইলিয়াসের সমর্থক মিন্টু বিশ্বাস দাবী করেন, অতর্কিত ভাবে সোহেল রানার নেতৃত্বে তার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে নারীসহ ৫জনকে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করা হয়। আহতরা বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাছাড়াও তিনি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না বলেও জানান।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মতিন জানান, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় আলাউদ্দিন মাঝি বাদি হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই শিহাব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।