ইউনিয়ন আ'লীগ নেতার হাতে উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আজ সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে তুজারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম ও তার অনুসারীদের হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মঈনুদ্দিন আহম্মেদ সেতু বলেন, তার মুখে আঘাত লাগার দরুন তার একটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে এবং মুখের ভেতরে সেলাই দিতে হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র জানায়, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। পরবর্তীতে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা বলেন, তুজারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম ইউপি নির্বাচনে তুজারপুর হতে নমিনেশন চেয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তে তাকে না দিয়ে হাবিব নামের একজনকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। এরপর হতেই আসলাম আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দুপুরে উপজেলার সামনে আওয়ামী লীগের অফিসে আমি গেলেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসলাম ও তার অনুসারীরা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। জুনিয়র নেতা হয়ে সিনিয়রদের উপর এ হামলা দলের জন্য অশনি সংকেত। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর বিচারের জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিব।
অপরদিকে অভিযুক্ত আসলাম বলেন, সকালে আমি ও তুজারপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হাবিব ভাইকে সাথে নিয়ে উপজেলায় এসেছি নমিনেশন ফরম জমা দিতে। সবাই যখন আওয়ামী লীগ অফিসে বসা তখন আমাকে উদ্দেশ্যে করে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা খারাপ মন্তব্য করেন। এত করে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে তার উপর হামলা চালায়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিরন হাওলাদার বলেন, জুনিয়র হয়ে সিনিয়রদের উপর হামলা এটা খুবই দুঃখজনক। এতে করে দলের ভেতরের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বিপুল ভোটে হারায়। এর পর হতেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। এরপর হতে কাজী জাফরউল্লাহ সংগঠনগুলো ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে পরিচালনা করে আসছে। ইতিপূর্বে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নিক্সন চৌধুরীর সমর্থিত প্রার্থীর কাছে কাজী জাফরউল্লাহ সমর্থিত প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়।