যুবকের হাত পায়ের রগ কেটে নদীতে নিক্ষেপ করলো নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা : ২০ বাড়ি ভাঙাচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়ার শিবগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক যুবকের হাত-পায়ের রগ কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এসময় ২০টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। আহত রবিউল ইমলাম(২৮) নিজেও আওয়ামী লীগের কর্মী। তবে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রবিউলের ভাই শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী হওয়ায় রবিউল ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানের পক্ষে কাজ করছিলো।
রবিউলের ভাই বিহার ইউপি সদস্য আবু রায়হান জানান, এবার ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মইদুল ও তার কয়েকজন ক্যাডার গ্রামে গ্রামে তান্ডব শুরু করে। গত ১৭ অক্টোবর রাতে তারা বিহার হাটে অবস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কার অফিসে হামলা চালিয়ে ২জনকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে যখম করে এবং হাটের ওপরে দুটি দোকান ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোন আসামীকেই গ্রেফতার করেনি, এমনকি আসামীরা জামিনেও ছিলো না।
আজ রবিবার সকাল থেকে তারা বিহার বাজারে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট শুরু করে। পরে সম্মিলিতভাবে তাদের বাধা দিলে তারা বাজার ছেড়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে তান্ডব শুরু করে। এক পর্যায়ে তার বাড়িতে হামলা করে সেখানে থাকা তার ভাই রবিউলকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে দিয়ে নাগর নদীতে তাকে ফেলে দেয়। একই সময় তাদের গ্রাম মোন্নাপাড়ার অন্তত ৬টিসহ আশপাশের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
রায়হান জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তার ভাই শিমুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন তরে মুমুর্ষ অবস্থায় মইদুল ও তার সহযোগিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ফেলে দেয়। সেখানেই মারা যায় শিমুল। ওই মামলায় প্রধান আসামী মইদুল চেয়ারম্যান। এদিকে এবার নির্বাচনে তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুটোফোন বন্ধ থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মইদুল ইসলামের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পরপরই শিবগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় মইদুলকে আটকে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনি তার মোটরসাইকেল ফিলে পালিয়ে গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।