চার সাংবাদিকের ওপর যুবলীগ নেতার হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৮ এএম, ৩০ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানীর পল্লবীতে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে যুবলীগ নেতা আল মাহমুদ নয়ন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সাপ্তাহিক নতুন বার্তার সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ তুহিন (৪০) নামে এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় একটি মাদরাসা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এই হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
ইউসুফ আহমেদ তুহিন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, যুবলীগ নামধারী একদল সন্ত্রাসী পলাশনগরে একটি মাদরাসা দখল করছে। পল্লবী থানার সেকেন্ড অফিসার কাওসারকে জানিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মিরাজ মাহবুব ইফতি, দৈনিক বাংলাদেশের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম ও অনলাইন পোর্টাল জাগো কন্ঠের ক্যামেরাপারসন মো. আলীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই, যুবলীগ নেতা নয়ন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা পলাশনগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় অবস্থিত আনোয়ারুল উলুম মাদরাসা থেকে শিক্ষক ও ছাত্রদের পিটিয়ে বের করে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে যুবলীগ নেতা নয়ন, আনোয়ার, আজমান, জালাল, বাদলসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন অস্ত্রসহ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নয়নের সঙ্গে থাকা আজমান নামের এক যুবক তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথা ও কপালের ওপর আঘাত করে। পরে সহকর্মী ও স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে, পরে ওই রাতে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করেছি।’
মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের মুখপাত্র ও দৈনিক বাংলাদেশের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে সেখানে কী হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর ১০ মিনিটের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জন এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। কোনো কিছু বলার বা পরিচয় দেয়ার আগেই ওরা আমাদের ওপর হামলা করে। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর আরও উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। দুষ্কৃতকারীরা আমাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হলে সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।’
পল্লবী থানার এসআই মাহবুব আলম খান বলেন, এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।