আওয়ামী লীগকে তাড়ানোর জন্য বিএনপিই যথেষ্ট - মির্জা আব্বাস

সরকার বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

আজ বুধবার যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানসহ যুবদলের ৫০ থেকে ৬০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

মির্জা আব্বাস বলেন, যুবদল ৪৩ বছরে পদার্পণ করেছে। বিএনপির অন্যতম অঙ্গসংগঠন হচ্ছে যুবদল। এ কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, আত্মার মাগফিরাত কামনার উদ্দেশ্য আগমন। এখানে আসতে গতকাল আমাকে হেঁটে আসতে হয়েছে। এর আগে এ রকম কখনো হয়নি। আমাদের এখন এখানে হেঁটে আসতে হয়। তিনি বলেন, যুবদলের হাতেগোনা কয়েকটি ছেলে আছে আমাদের সাথে। কিন্তু যুবদল এমন সংগঠনের নয়। যুবদল বিশাল দল। যুবদল নব্বইয়ের আন্দোলনে, ’৯৬-এর আন্দোলনে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যক্রম নিয়েছে এবং সরকারের পতনও হয়েছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকার দেশবাসী ও যুবদলকে ভয় পেতে শুরু করেছে। এখানে যুবদলের লোকের চেয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোক দ্বিগুণ। এতে আমাদের টাকার অপচয় করা হচ্ছে, এদের পরিশ্রম করানো হচ্ছে, কষ্ট করানো হচ্ছে এবং বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যুবদল অনেক বড় দল, আমি আশা করি এরা আরো শক্তিশালী হবে। সরকার পতনের আন্দোলনকে জোরদার করবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে তাড়ানোর জন্য বিএনপি যথেষ্ট। এ কারণে সরকার বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী সহিংসতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওদের যা উদ্দেশ্য ছিল তা পূরণ করার চেষ্টা করেছে। প্রথমত, বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জাতির কাছে তুলে ধরা। দ্বিতীয়ত, ভারতে নির্বাচন চলছে সেই নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। তৃতীয়ত, বাংলাদেশ নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনকে প্রভাব ফেলা। এটি মোটেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়।

মির্জাগঞ্জে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে উপজেলার সুবিদখালী বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গাজী শামসুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মোবারক আলী মুন্সি, যুগ্ম আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজি, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. আতাউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মো. সৌরভ মুন্সি, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. ইলিয়াস সিকদারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।

সিরাজগঞ্জে যুবদলের সমাবেশে পুলিশের বাধা, সংঘর্ষে আহত ১৫ : সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে শহরের ইবি রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সদর থানাপুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল বদরুজ্জোহা, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ও যুবদল নেতা মিলন এবং আব্দুল মতিন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আব্দুল মতিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। 

পুলিশ ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করেন যুবদল নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। 

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। এতে পুলিশ নগ্নভাবে হামলা করে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানো হয়।’ ১০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কালীগঞ্জে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও কেক কাটা হয়েছে। আলোচনা সভায় কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজা উদ্দিন মাহমুদ পিয়ালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ মাহাবুবার রহমান। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডা. নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আয়নাল হাসান, তবিবুর রহমান মিনি, শহিদুল ইসলাম সাইদুল, ইলিয়াস রহমান মিঠু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জবেদ আলী, উপজেলা তাঁতী দলের আহবায়ক আজিজুল ইসলাম বাটুল, কৃষক দল নেতা মোকছুদুল মোমিন, মৎস্যজীবী দলের পৌর আহবায়ক নাজমুল কবির রিপন, শ্রমিক দল নেতা ফরিদ উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল রানা, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মৌসুম উদ্দিন শোভন। বক্তারা সামনের দিনে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানান। আলোচনা সভা শেষে কেক কাটা ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া সদ্য প্রয়াত কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মান্নান মনা ও পৌর বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হোসেন বিশ^াসের মৃত্যুতে রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।