বিএনপির সম্প্রীতি মিছিলে মানুষের ঢল, সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৮ এএম, ২৭ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৪ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন কুমিল্লায় পূজামন্ডপে কোরআন শরিফ রেখে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে সারাদেশে পূজামন্ডপ, মন্দির, বাড়িঘরে হামলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই দেশে সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি। আওয়ামী লীগের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। তারা কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি। তারা আজকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে, তারা আজকে মানুষের অধিকার ব্যাহত করে, তারা আজকে জনমানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাই বলব, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা নতুন নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন যাতে সকলে ভোট দিতে পারে, ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করার কারণে ছোট ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রীতি মিছিলে মানুষের ঢল নামে। সকাল ৯টা থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। ফকিরেরপুল থেকে কাকরাইলের মোড় পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মিছিল সমাবেশে পরিণত হয়। নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা একটা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে একটা র্যালির মাধ্যমে সরকার যে পরিকল্পিতভাবে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে তার প্রতিবাদ জানাতে শান্তিপূর্ণ র্যালি করে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যাবো। আমরা চিঠিও দিয়েছিলাম আগে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে সকাল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের এখানে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এখন সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছি। আজকে ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি চান বিএনপি মহাসচিব। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মহাসচিব বলেন, আমি ভাইদের বলতে চাই আপনারা অনেক কষ্ট করে, এভাবে অনেক প্রতিকূলতা এড়িয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। আমি অনুরোধ করবো, এখান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে যে যেখান থেকে এসেছেন চলে যাবেন। আমরা কোনো মিছিল বা র্যালি করছি না সম্প্রীতির স্বার্থে। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করার জন্য সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হিন্দু, মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এক সাথে বাস করছি। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের, মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপরে তারা আঘাত হেনেছে। তাদের লক্ষ্য একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আজকে ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতায় এসে অত্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, তারা প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে, তারা নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করেছে এবং মিডিয়াকে তারা অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করে রাখতে চায়। আমাদেরকে কোনো গণতান্ত্রিক স্পেস দেয় না, আমরা যারা বিরোধী দল করি, আমাদেরকে একটা সভা করার জায়গা দেয় না, একটা মিছিল করার জায়গায় দেয় না। মানুষের যে অধিকারগুলোকে সেগুলোকে দমন করার জন্য তারা সবরকম নির্যাতনমূলক-দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ভাইদের ওপর কোনো আঘাত আসলে সেটা আমরা সামনে গিয়ে অবশ্যই প্রতিহত করবো, প্রতিরোধ করবো। আজকে সরকার যে ব্যর্থ হয়েছে, মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না সে জন্য এর বিরুদ্ধে আমরা সমাবেশ করছি। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে একটি মুক্ত সমাজ, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেখানে সম্প্রদায় সম্প্রদায় কোনো বিভেদ-বৈষম্য থাকবে না। সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে আজকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে দেয়া হবে না এবং নির্বাচনে যাবো না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামী দিনে নির্বাচন করব। সকলে আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে নেত্রীকে মুক্ত করা যাবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাই এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সরকার একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দুর্গাপূজার ম-পে কোরআন রেখে সেটা ভাইরাল করে একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের আমাদের সংগঠিত করছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। যেকোনো মুহূর্তে আন্দোলনের ডাক পড়বে। সময় পাবেন অথবা সময় পাবেন না। আজকে যেমনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তার থেকে শতগুণ শক্তি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। রাজপথে যে বাধা আসবে সেই বাধা অতিক্রম করতে হবে। আঘাত করলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আঘাত করলে আমরা নির্ভয়ে মাথা পেতে নেবো না- এই কথাটা পরিষ্কারভাবে প্রশাসনকে বলতে চাই, এই কথাটা পরিষ্কারভাবে সরকারকে বলতে চাই। সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, দেশে শান্তি অবস্থা ফিরিয়ে আনুন। আর মন্দিরে হামলার সাথে জড়িত সেই প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করুন, যাদের গ্রেফতার করেছেন তাদের মুক্তি দিন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলনের মাধ্যমেই, অন্য কোনো পথ নেই। সেজন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। এরশাদের সময়েও মন্দিরে হামলা হয়েছে। কিন্তু এরশাদের পতন কেউ ঠেকাতে পারেনি। আজকে মন্দিরে হামলা করে ক্ষমতা টিকানো যাবে না। এই জুলুমবাজ, স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ, তাঁবেদারি সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।
এছাড়াও সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী খান লেলিন, নিপুণ রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হেলেন জেরিন খান, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রনেতা আলমগীর হাসান সোহান, রাজিব হাসান পাপ্পু, দক্ষিন খান থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন, পল্টন থানা বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট হোসাইন আব্দুর রহমান, কলাবাগান থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ কিবরিয়া লাকী, ডেমরা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেমসহ লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিন্দা ও প্রতিবাদ : কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মারুফ মিয়া, সহ-সভাপতি সাঈদ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিষাদ, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ রায়হান, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক অলিউল্লাহ অলি এবং যুবদল নেতা রুবেল মুন্সি গতকাল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণের আশ্রয় নিয়ে দেশকে ক্রমান্বয়ে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ জোর-জবরদস্তিমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী বর্তমান আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটের অধিকারকে ধূলিসাৎ এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধ্বংসের মাধ্যমে সমগ্র দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। বিরামহীনভাবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে, কারান্তরীণ করা হচ্ছে। ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মারুফ মিয়া, সহ-সভাপতি সাঈদ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিষাদ, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ রায়হান, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক অলিউল্লাহ অলি এবং যুবদল নেতা রুবেল মুন্সির জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার কর্তৃক সংঘটিত অপকর্মগুলোরই ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সকল অপকর্ম ও দুঃশাসন রুখে দিতে জনগণ এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।