দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ - রাশেদ খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ২৬ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৭ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার দলীয় লুটেরা মুনাফাভোগী সিন্ডিকেট চক্রের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। মহামারী করোনায় জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। তার উপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণ চোখে ‘সরষে’ ফুল দেখছে।
আজ মঙ্গলবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চাল ডাল তেল চিনি পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অবস্থা শোচনীয়। সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে সফল হলেও দেশের জনগণের দুর্ভোগ-দুর্দশা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জনবান্ধব সরকার না হওয়ায়, এই সরকারের আমলে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। তাই বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া দ্রব্যমূল্য ও জনদূর্ভোগ শেষ হবে না। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দল, মত, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এর লাগাম টেনে না ধরে বরং এই দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে উৎসাহিত করছে। ফলে প্রতিনিয়ত চাল ও ডাল থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আজকে বহু মানুষ অনাহারে থাকছে, অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ সাধারণ জনগণের সমস্যা সমাধানে সরকার উদাসীন। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জণগণকে সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটাতে হবে। তখন এদেশের জনগণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সকল সমস্যার সমাধান পাবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম দিপু, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, এম. আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, মোঃ দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, মনির হোসেন, জাকির হোসেন, মোকলেছুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মোঃ হাসান, রাসেল খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন রুবেল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য লুৎফর রহমান জুয়েল, মোঃ নুর আলম, কামরুল হাসান, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ বাকের, জাকির হোসেন মিশু, জাহেদুল আলম, আকবর শাহ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হাসান মাহমুদ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শফিউল আলম শফি, খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ রায়হান আলম, বায়েজিদ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আলতাফ হোসেন, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, ইপিজেড থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইউসুফ সুমন, বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ দুলাল, খুলশী থানা সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বাবু, বায়েজিদ থানা সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, আকবর শাহ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ তওসিফ, বাকলিয়া থানা সদস্য সচিব মোঃ শামীম, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মীর কাশেম, হাসানুর রশিদ হাসান, গোলাম রহমান অভি, মহিউদ্দিন রনি, মোঃ জামসেদ, এমদাদুল হক, আজাদুল হক চৌধুরী, ফরহাদ আজাদ সহ প্রমূখ।মিছিলটি নগরীর কদমতলি মোড় হতে শুরু হয়ে বিআরটিসি মোড় হয়ে স্টেশন রোড়ে এসে শেষ হয়।