আ.লীগকে দিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব নয় - মির্জা আব্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ এএম, ২৬ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দ্রব্যের দাম বাড়ছে কিন্তু আওয়ামী লীগ এ নিয়ে কোনও কথা বলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও অভাব দেখেনি। আজকে চারদিকে হাহাকার, শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া। কারণ হচ্ছে তারা তো উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক দল আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে খেয়াল করেছি, এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বহু লোক না খেয়ে থাকে। বেশকিছু ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে। কিন্তু মিডিয়াতে আসে না। আজকে মিডিয়াকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে। আজকে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। তাই অনেক কিছুই আমাদের দৃষ্টিতে আসছে না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, এটা হচ্ছে রাজনৈতিক চক্রান্ত। দেশের মানুষের মুখে কুলুপ এঁটে দেয়ার জন্য এই চক্রান্ত।
তিনি বলেন, আগামীতে আমরা নির্বাচিত সরকার চাই। নির্বাচিত সরকার হলেই এই দেশের অশান্তি থামবে। নির্বাচিত সরকার এ দেশের ভালো-মন্দ দেখবে। আওয়ামী লীগকে দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আগামীতে আমরা নির্বাচিত সরকার চাই। নির্বাচিত সরকার হলেই এই দেশের অশান্তি থামবে। নির্বাচিত সরকার এ দেশের ভালো-মন্দ দেখবে। আওয়ামী লীগকে দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই কুমিল্লার নাম পরিবর্তন করতে চান। প্রশ্ন হচ্ছে কি কারণে, কিসের এত রাগ-ক্ষোভ? উনি বলেছেন কুমিল্লাকে মেঘনা আর ফরিদপুরকে পদ্মা নাম দিবেন। মানুষ ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কুমিল্লার মানুষ অত্যন্ত আহত তার এমন বক্তব্যে। একজন ব্যক্তির প্রতিহিংসার কারণে হাজার বছরের নাম তিনি মুছে দিতে চান কেন? দেশের মানুষকে আহত করে তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন এটাতো হতে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পায়রা ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়ে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বললেন- আমি এত কিছু করলাম অন্যরা চোখে দেখে না। তারা নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। ঘটনার জন্ম দিচ্ছে কারা? আপনার কুমিল্লা-রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার সাথে আপনার ছাত্রলীগ জড়িত; মিডিয়াতে তা প্রকাশ পাচ্ছে। আর এইগুলো হচ্ছে আপনার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এই অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই পূজামন্ডপে হামলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এমপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।