সাম্প্রদায়িক হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে আ'লীগ-ছাত্রলীগ : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ২৪ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩১ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
দেশে সাম্প্রতিক সম্প্রদায়িক হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পূজামণ্ডপসহ যেসব বাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে, তাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজও পত্রিকায় এসেছে, রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সৈকত।’
আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে মির্জা ফখরুল বিমানযোগে সিলেটে পৌঁছে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের ফখরুল এসব কথা বলেন।
মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সুনামগঞ্জে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল হক আম্বিয়ার শোকসভায় যোগ দিতে সেখানে যান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনগণ ধর্মবিশ্বাস পালন করতে পারছেন না। উপাসনালয়গুলোরও নিরাপত্তা নেই । ইসলাম ধর্মে যারা বিশ্বাস করেন, তাদেরও নিরাপত্তা নাই এখানে। সামগ্রিকভাবে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের যেহেতু জনগণের সাথে সম্পর্ক নেই, জনগণের ভোট তারা পায় না। এজন্য জনগণের দৃষ্টিটাকে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার থেকে সরানোর জন্য সরকার এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
মীর্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আওয়ামীলীগের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এ সরকার অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার। তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে গত দুটি টার্ম জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমরা তখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো, যখন নির্বাচনের সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন একটি নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আমরা অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। আর সেজন্যই আমরা আন্দোলন করছি।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীমসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।