জ্বর কমেনি, তবে স্থিতিশীল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ২০ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১০ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
জ্বর না গেলেও স্থিতিশীল রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা। তাঁর জ্বর না যাওয়া ও আগের মতোই খাবারের রুচি কম রয়েছে। বিএনপি ও চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার কিডনির সমস্যা প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণেই তাঁর শরীরের তাপমাত্রা সব সময় বেশি থাকছে। চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছে। প্রয়োজন পড়লে ওষুধ পরিবর্তন করা হচ্ছে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে তাঁর ছেলে তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়মিত আপডেট জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই দিন পর পর বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম এখন মোটামুটি আছেন। তাঁর শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ওনার তো অনেকগুলো অসুখ আছে, সেইগুলোর পরীক্ষা করে নিয়মিত ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ম্যাডাম কবে বাসায় ফিরতে পারবেন, সেটা তো নির্দিষ্ট করে এখনই বলা যাচ্ছে না। ওনার বিভিন্ন অসুখ রয়েছে। সেইগুলোর চিকিৎসা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেগম খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক বলেন, বর্তমানে ম্যাডাম কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। এর সঙ্গে জ্বর তো আছেই। আসলে জ্বর কোনো রোগ না। ওনার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে এই জ্বর আসছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে দলীয় নেতাদের বেশি যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ নেতারা হাসপাতালে গেলেই ওনার পা ধরে সালাম করেন। ফলে নেতাদের শারীরিক স্পর্শের কারণে অন্য কোনো ভাইরাসে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে ম্যাডামের পা ছুয়ে সালাম করে নেতাদের দোয়া চাওয়া নিয়ে একদিন রসিকতা করে তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ ফাতেমা বলেন, ম্যাডাম তো সারাদিন শুধু দোয়া করার ওপরে থাকেন।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে একাধিকবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে তাঁর পরিবার। বিএনপির নেতারাও তাদের বক্তব্যে বারবার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পর গত ১২ অক্টোবর আবারও বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে আছেন ব্যক্তিগত স্টাফ ফাতেমা বেগম ও সুমি।