সরকারের মন্ত্রীরা ‘স্মৃতিভ্রম’ রোগে আক্রান্ত - রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৫ এএম, ১৯ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকারের মন্ত্রীরা ‘স্মৃতিভ্রম’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সারা দেশে দুর্গাপূজার মন্ডপে হামলার ঘটনায় সরকারের মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আজ সোমবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীরা শহীদ নেতার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৯৯ সালে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপে এতো বড় ঘটনা সেই ঘটনা এই সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ, অন্যান্য বিভাগ কিছুই বলতে পারলেন না। আর সরকারের মন্ত্রীরা একের পর এক অকথ্য আজেবাজে মিথ্যাচার করছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে না ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না, বিএনপির কোনো ক্ষমতা নাই। আবার কালকে ওবায়দুল কাদের সাহেব ও হাসান মাহমুদ সাহেব বলছেন কুমিল্লার ঘটনার জন্য বিএনপি দায়ী। এখানে ডাক্তার সাহেবরা আছেন-ডিভেনশিয়া বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি কথা আছে। আমি দুইদিন আগে বা দুই ঘন্টা আগে যে কথা বলেছি, সেই কথাটা আমি পরক্ষণে আবার ভুলে যাই। এই ডিভেনশিয়া, স্মৃতিভ্রমের মধ্যে পড়েছে ওবায়দুল কাদের ও হাসান মাহমুদ সাহেবরা। ডিভেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম রোগে ভুগছেন তারা। পরশুদিন যা বলেছেন আজকে সেটার পুরোপুরি উল্টো কথা বলছেন।
তিনি বলেন, আজকে এই নৈরাজ্যকর-ভয়-ভীতি-শংকার যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতি আজকে সরকার সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত কৃত্রিমভাবে তারা এটা সৃষ্টি করে সারাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি তৈরি করেছে। কারণ করোনায় ব্যর্থতা, মানুষের সুচিকিৎসা দিতে না পারা, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা, মানুষের জীবন-যাপন এবং তাদের নিরাপত্তা দিতে না পারা এবং দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন যে ঊর্র্ধ্বগতি, সেই ঊর্র্ধ্বগতিতে সারাদেশের মানুষ একেবারে দিশেহারা অবস্থায়। সেগুলোকে মোকাবিলা করতে না পারার কারণে আজকে কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাতে মানুষের দৃষ্টি ওইদিকে যায় এবং ওইদিকে গিয়ে মানুষ ওটা নিয়ে পড়ে থাকে। সরকারের এই সমস্ত ব্যর্থতা যাতে মানুষ আলোচনা না করতে পারে, এটা নিয়ে যেন মানুষ দাঁড়াতে না পারে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তারা। সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কুমিল্লার পূজামন্ডপের ঘটনা যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা বলে এতো ভালো পারেন, তারা বলে সমস্ত কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন। তাহলে এই ধরনের একটি ঘটনা কেন ঘটলো। আজকে মানুষের নিরাপত্তা নেই, আজকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তারা নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারছে না, উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছে। আর ওইদিকে পবিত্র কোরআন অবমাননা হচ্ছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা বিভাগ। আরে ভাই আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্রের যে স্বীকৃত প্রতিবাদ আছে, সেই প্রতিবাদ করলে পরে তারা যদি পাতালেও থাকে, সেই পাতাল থেকে তুলে নিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে ভরে রাখা হয়। আর এতো বড় একটি ঘটনা সেই ঘটনা এই সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ অন্যান্য বিভাগ কিছুই বলতে পারলেন না।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপিরি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. পারভেজ রেজা কাঁকন, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, মাসুদ আখতার জিতু, মেহেদি হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।