শৈলকুপায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশত আহত বাড়িঘর ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বারুইহুদা গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত ও ৩০ টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বারুইহুদা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং যুবলীগ নেতা শফিকুলের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। হাসেম আলী, নাস্তম শেখ, রুস্তম শেখ, মিজানুর রহমান, হাবিব, মুক্তার শেখ, নবাব শেখ, মুসা শেখ, বাদশা শেখ, আজিজুল শেখ, আমজাদ শেখ, লিটন, জসিম শেখ, হাসমত শেখ, ছলেমান ও নেছার উদ্দীনের বাড়িসহ ৫০ বাড়িভাংচুর ও লুটপাটেরঘটনা ঘটে। হামলায় আলিম বিশ্বাস, বিপুল, রাজ্জাক বিশ্বাস, সজীব, আজিম, হামিদুল, ছবেদা খাতুন, রয়েল মোল্যা, নাসির বিশ্বাস, দবির উদ্দিন, ফকির আলী, সরিফুল ইসলাম, রিজিয়া খাতুন, খলিল বিশ্বাস, লাল্টু, আমেনা বেগমসহ ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শফিকুল সমর্থিত নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বারুইহুদা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে ঢুকে ৩০টি ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ ভাংচুর করে। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে বাক্সে থাকা কাপড়, নগদ টাকা, স্বর্নলঙ্কার এমনকি গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
অপরদিকে শফিকুল বলেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গ্রুপের আব্দুল বারিকের লোকজন বারুইহুদা স্কুলে বসে থাকা আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে গ্রামবাসি জোট বদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে। জেলা যুবলীগ নেতা শফিকুল বলেন এই ঘটনার জন্য নজরুল চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা দায়ী।
শৈলকুপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকারী দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ওই এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।