স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগ্যতা নেই, মসজিদে ইমামতি করেন - কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি ভালো মানুষ, অনেকে বলেন। আপনার স্বরণ আছে কিনা জানিনা। আমার এলাকার যে অপরাজনীতির হোতাদের যে তান্ডব। সেই তান্ডবের বিরুদ্ধে আপনার কাছে একটা দরখাস্ত দিয়ে ছিলাম। আপনি আমার সাথে মোবাইলে ওয়াদা করেছেন অচিরেই তদন্ত করে এটার বিচার করা হবে। কিন্তু আজকে ৬মাস পেরিয়ে গেছে,এটার বিচার পাইনি আমি। যার কারণে আজকে এখানে তান্ডব চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে অব্যাহতি নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমামতি করেন। এ কাজটা আপনার জন্য একবারে এপ্রোপ্রিয়েট হবে। আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগ্যতা নেই। যোগ্যতা যদি থাকতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এমন ঘটনা ঘটতো না। যোগ্যতা যদি থাকতো কুমিল্লাতে এবং সিলেটে এমন ঘটনা ঘটতো না। আজকে বেগমগঞ্জে এমন ঘটনা ঘটতো না।
গতকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার জের ধরে উদ্ভূত পরিসিস্থিতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে উদ্দেশ্যে করে আরো বলেন, আপনি যদি কুমিল্লার ঘটনার সাথে সাথে এবং হিন্দু অধ্যুষিত চৌমুহনীতে ব্যবস্থা নিতেন তাহলে আজকে একটা জীবন যেতনা। শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক আহত হতোনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সিলেটে জঘন্য ঘটনা ঘটার পরে এখন কুমিল্লাতে মূর্তির নিচে কোরআন শরীফ রেখে সারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি, জামাত আর হেফাজতের অপশক্তিরা যে ষড়যন্ত্র আজকে করেছে, সে বিষয়ে আপনাদের সজাগ থাকা উচিত ছিল। আপনার পুলিশ বাহিনী,র্যাব সজাগ থাকা উচিত ছিল। আজকে চৌমুহনীতে, সেখানে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা সেখানে তো বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন? কিন্তু আমরা শুনেছি সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। যার ফলে মন্দির জ্বালিয়েছে, মন্দিরের সামনে রাখা হোন্ডা জ্বালিয়েছে, ভাংচুর করেছে মন্দির এবং পূজা মন্ডপ।
কাদের মির্জা বলেন,আজকে হেফাজতকে প্রশ্রয় দিয়েছে আওয়ামীলীগের তথাকথিত কিছু নেতা। নোয়াখালীতে একরাম আর ফেনীতে নিজাম হাজারী এবং এই কোম্পানীগঞ্জে বাদল, খিজির, রুমেল ও মঞ্জু এরা হেফাজতকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। আজকে মিছিলে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। আজকে বিএনপি, জামাত ও হেফাজত যে ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুরু করেছে এটাকে প্রতিহত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদেরকে, যারা ত্যাগী নেতা, যারা দুঃসময়ের নেতা, তাদেরকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এটা হচ্ছে আমাদের দেশ। পুলিশ এবং র্যাবের ভূমিকা ছিল না।ডিবি'র অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। রাত্রিবেলা আমার নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনা। তারা গিয়ে হামলা করে। পরিবারের সাথে বেয়াদবি করে। ধরে এনে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। আজকে সেই ডিবির অফিসাররা, ডিবি সদস্যরা আছে কোথায় ছিল? চৌমুহনীতে একটা জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। আজকে তারা কোথায় ছিল? পালিয়ে গেলেন কেন প্রশাসনের বন্ধুরা? আজকে আমরা প্রতিহত করলেও আপনারা কেন করলেন না? আজকে তো কোন রক্তপাত হয়নি? কোন কিছুই হয়নি। বিনা রক্তপাতে আমরা প্রতিহত করেছি। চৌমুহনীতে তাণ্ডব চলেছে, পুলিশ নীরব ছিল। আজকে একটা হিন্দু পুরোহিত ভদ্রলোক জীবন দিয়েছে। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রায় শতাধিক এজন্য দায়ী কে?
তিনি আরো বলেন, আমরা মুসলমান, আল্লাহর উপর অবিচল বিশ্বাস আর মহানবী (সাঃ) এর পথ অনুসরণ করি বলেই আমরা শান্তিপ্রিয় এবং সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী নই। একাত্তরের পরাজিতদের পরবর্তী প্রজন্ম বিএনপি, জামাত, হেফাজত এবং আওয়ামীলীগের কিছু লেবাসধারী হেফাজতের আশ্রয়দাতা আজকে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। যারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করে সরল মানুষের ধর্মভীরুতাকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তারা ইসলামের প্রকৃত শত্রু।