সিংগাইরে মনোনয়নপত্র ছিনতাই: আ'লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৮ এএম, ১৬ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সিংগাইর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে থানা স্বেচ্ছসেবকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান মারধরের স্বীকার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার মামলায় থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলধারা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খানের ছেলে ফয়েজুল ইসলাম খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা।
মামলার বাদি ওবায়দুর রহমান জানান, নির্বাচন অফিসারের সঙ্গে আলাপ করেই তিনি বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। নির্বাচন অফিসের কাছে পৌছা মাত্র ফয়েজুল ইসলাম, রামকান্তপুরের মো. রফিকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু (৩০), উত্তর পারিলের ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে জিয়া উর রহমানসহ (৪০) আরও ৪/৫ জন তাদের পথ রোধ করে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে মনোনয়নপত্র ও ভোটার আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।পরবর্তীতে লোকজন এসে ওবায়দুরকে উদ্ধার করে।
ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, মারধর, মনোনয়নপত্র ও ভোটার আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনতাইয়ের ব্যাপারে ওবায়দুর রহমান থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত ফয়েজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পিতা আব্দুল মাজেদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলধারা ইউপি চেয়ারম্যান। আব্দুল মাজেদ এবারও ১১ নভেম্বর নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফয়েজুল থানায় আসলে তাকে থানা থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
সিংগাইর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান জানান, ওবায়দুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতেই পারে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারেরও সময় আছে। সে আমাদের দলেরই লোক। এ ব্যাপারে আমরা বসেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু তাকে মারধরে করে মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেয়াটা মোটেও ঠিক করেনি ফয়েজুল। সে যা করেছে নিজ ভাবে করেছে। দল তার দায়িত্ব নেবেনা।