মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা ফোয়াদের দুই দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপির এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা এ তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জামাল পাশা বলেন, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ফোয়াদকে ঢাকার বসুন্ধরা হতে গ্রেফতার করে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামী। সবমিলিয়ে আটটি মামলার আসামী তিনি। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
২০১৮ সালের ২১ মার্চ এ এইচ এম ফোয়াদ ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হন। গত বছরের ২৩ আগষ্ট জেলা যুবলীগের ওই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
এদিকে, ২০১৫ সালের ১৫ জুন ফরিদপুরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ছোটন নামে একজন বাস শ্রমিক হত্যা হয়। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল গফফার জানান, ছোটন হত্যা মামলার আসামী হিসেবে এ এইচ এম ফোয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বুধবার দুপুরে তাকে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুনানী শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ১৮ মে সুবল চন্দ্র সাহা কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই মামলায় ৬ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আত্মগোপনে যান অনেকে।
অন্যদিকে, গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী-২০১৫-এর ৪(২) ধারায় ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। গত ৩ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বরকত ও রুবেলসহ ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভি, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহিন, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মাদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিমকে অভিযুক্ত করা হয়।