জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে ইতিহাস ভিন্ন হত-ইরান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০১:৪১ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিন্ন হত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মেজর জলিল মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া : আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া একসুত্রে গাঁথা। আজকে যারা শহীদ জিয়াকে অখ্যাত মেজর বলে তারাই কবি নজরুল ইসলামকে তুচ্ছ হাবিলদার বলেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যা ও শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে মুক্তিকামী জনগণ যখন সঠিক নেতৃত্ব ও নির্দেশনার অভাবে দিকভ্রান্ত ছিল, তখন শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা মুক্তিকামী কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতাকে সংগ্রামে সংগঠিত হওয়ার উৎসাহিত করেছে। সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সাহসিকতার সাথে পথ দেখিয়েছে। যারা শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেবাসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্র ভোটাধিকার হরন করেছে মন্তব্য করে ডা. ইরান বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শোভা পায় না। তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। আ’লীগ উন্নয়নের গণতন্ত্রের কথা বলে মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশে পাচার করছে। ’৭১ সালে বিজয় হলেও তা শুধুমাত্র পতাকা ও মানচিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বর্তমান দলীয় সেবাদাস নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় বা স্থানীয় কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না। একদলীয় নির্বাচন হওয়ায় জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছে, যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অশনি সংকেত।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন প্রমুখ। সভায় শহীদ জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।