সরকার পতনে ‘নব্বইয়ের মতো আরেকটা গণঅভ্যুত্থান’ ঘটানোর সময় অত্যাসন্ন - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৭ এএম, ১১ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকার পতনে ‘নব্বইয়ের মতো আরেকটা গণঅভ্যুত্থান’ ঘটানোর সময় ‘অত্যাসন্ন’ বলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার দুপুরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত এক ছাত্রদল কর্মীর স্মরণ সভায় তিনি এই আহবান জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ ও জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ‘শহীদ জেহাদ দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। লন্ডন থেকে স্কাইপেতে এই আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী নাজির উদ্দিন জেহাদ। এরপর থেকে এ দিবসটিকে বিএনপি জেহাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাজউক এভিনিউ মোড়ে শহীদ জেহাদ স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপির নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯০ সালে যে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেদিনকার ছাত্র-জনতা স্বৈরশাসকের তখতে-তাউস উল্টে দিয়েছিলো এবং সেদিনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া- সেই সময় এসেছে এখন, আজকে সেই সময় উপস্থিত হয়েছে। আবার সেই ধরনের আরো দৃঢ়তার সঙ্গে আরো একটি গণঅভ্যুতত্থান ঘটাতে হবে। আসুন আর সময় ক্ষেপন নয়, আর কাল বিলম্ব নয়। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজকে সময় এসেছে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি, ছাত্রদের ঐক্য গড়ে তুলি, বহুদলীয় ঐক্য গড়ে তুলি। অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রতিবার যুগে যুগে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই তরুণেরা, এই যুবকেরা, এই ছাত্ররা। আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে তোমাদেরই। আজকে তোমাদের দিকে ভবিষ্যৎ তাকিয়ে আছে। যেমন গোটা জাতি আজকে তাকিয়ে আছে আমাদের নেতা তারেক রহমানের দিকে। ঠিক তেমনিভাবে আমরা সবাই তাকিয়ে আছি তোমাদের দিকে। তোমাদের জেগে উঠতে হবে, পরাজিত করতে হবে এই ভয়াবহ দানবীয় হাসিনা সরকারকে, বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, তাদেরকে (সরকার) বিদায় করে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি নির্বাচন দিতে হবে, যে নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দমতো সরকার ও পার্লামেন্ট তৈরি করবে এবং মানুষ যে যাকে চায় ভোট দেবে এবং আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকেই দেবো। এই সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে অবশ্যই এই দেশকে আমরা মুক্ত করব, দেশমাতা গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশকে ফিরিয়ে আনবো-এই হোক আজকে জেহাদ দিবসে আমাদের শপথ।
দেশের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভয়াবহ একটা পরিস্থিতি। আমাদের কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই। আমাদের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, আমাদের পার্লামেন্টকে ধ্বংস করেছে, আমাদের প্রশাসনটাকে ধ্বংস করেছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আজকে সেই জন্যই এই হাসিনা সরকারকে কোনো মতেই কোনো সময় দেয়া যাবে না। আজকে মানুষজন কথা বলতে পারে না, লিখতে পারে না। সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখতে পারে না। বাইরে গিয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পান না। যারা কথা বলতেন টেলিভিশনে তারাও কথা বলতে সাহস পান না। আপনারা দেখেছেন কী ভয়াবহ অবস্থা। বিদেশ থেকে কনক সারোয়ার তিনি কিছু সত্য কথা বলতেন। সর্বশেষ সত্য কথা যে, শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র গেলেন তার। এই কথা বলার পরে আজকে একজন নিরীহ অসহায় মা যার সন্তান আছে তার (কনক সারোয়ার) বোনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। এ কোন দেশে বাস করি আমি। এটা তো জংলী দেশ। কোনো সভ্যতা নেই এখানে। আজকে এই অসভ্য জংলী দেশ তৈরি করেছে এই সরকার।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাকে যদি বাঁচতে হয়, আমাকে যদি বাঁচতে হয়, আমার দেশকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জন, নব্বইয়ের অর্জনকে যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে চলে যেতে হবে। পরিষ্কার করে বলতে হবে- সরে দাঁড়াও, ঘুরে যাও। এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের মানুষ সবাই মেনে নিয়েছিলো যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন তাকে সুপরিকল্পিতভাবে ২০১২ সালে একটা ভ্রান্ত রায়ের মধ্য তাকে পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। যার ফলে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, রক্ত যত লাগে দিব। তবুও গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকেন। ডাক যখন আসবে আমাদের নেমে পড়তে হবে। আজকের এই সভা থেকে সরকারের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে। আর তা হলো আজকে থেকে পরিবর্তন শুরু হল।
তিনি বলেন, গতকাল যে সভাটা জাতীয় প্রেসক্লাবে হলো এই সভাটা যখন রাজপথে নিতে পারব, তখন বর্তমান যারা ক্ষমতায় আছে তারা পালানোর রাস্তা পাবে না। যেমনভাবে আফগানিস্তানে হয়েছে কে আগে হেলিকপ্টারে ওঠে তেমন হবে। শহীদ জেহাদ আমাদের সে রাস্তাটা দেখিয়ে গেছে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের দেশনেতা তারেক রহমানকে যদি দেশে ফিরিয়ে আনতে হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যদি আমাদের মাঝে আনতে হয়। কাজ একটাই, এই সরকারকে হটানো। এই কাজটি যদি আমরা করতে ব্যর্থ হই। তাহলে যে মাশুল আমাদেরকে দিতে হবে সেটা অনেক বড় মাশুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রক্ত যত লাগে দিব। সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকেন। ডাক যখন আসবে আমাদের নেমে পড়তে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। ডাকের অপেক্ষায় আমরা থাকলাম।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১০ অক্টোবর আমরা যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনলাম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আমাদের ছাত্রদলের এক নেতা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সারা বাংলাদেশের রাজপথ উত্তাল সমুদ্রের মতো ধেয়ে আসলো। সেদিনই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বার্তা পেয়ে গেলেন এবার আর কোনোভাবে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। বন্ধুরা, এই লোক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তো ফাঁসি হওয়ার কথা, ওনার মৃত্যুদন্ড হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার ক্ষমতায় আসেন। আর এরশাদ তখন বলেন সেনাবাহিনীকে অংশীদারিত্ব দিতে হবে। কত বড় সাহস এই লোকের। তারপর রাতের অন্ধকারে রাইফেল নিয়ে জোর করে বৃদ্ধ বিচারপতিকে তিনি ক্ষমতাচ্যুত করলেন। তারপর তাকে একটি বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হল। পরে বিচারপতি সাত্তার নিজেই বলেছেন যে, তাকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে এ বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এরশাদ যে ডাকাত, এরশাদ যে দস্যু, এরশাদ যে গণতন্ত্র হত্যাকারী এটার আর কোনো প্রমাণ লাগে না।
রিজভী বলেন, এরশাদ অনেককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন। আওয়ামী লীগকে ম্যানেজ করেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে ম্যানেজ করেছেন, বিএনপিকে ভাগ করে হুদা-মতিন বিএনপি বানিয়েছেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত আন্দোলনে সমস্ত কিছু ভেসে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যখন আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নির্বাচনে যেতে রাজি হয়েছে তখন বেগম খালেদা জিয়া হিমালয়ের মতো মাথা উঁচু করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেছেন, আগে এরশাদের পদত্যাগ তারপর নির্বাচন। কারণ স্বৈরাচারের সাথে কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। স্বৈরাচার যেকোনো গলি দিয়ে ঢুকে আবার গণতন্ত্রের ঘাড় মটকে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এসবের জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কি কষ্ট সহ্য করতে হয়নি? নয় বছরে সাত বার গৃহবন্দি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। আর একাত্তরের কথা তো সবাই জানেন। সেদিনও তিনি শিশু সন্তানদের নিয়ে বন্দি ছিলেন। এই নির্যাতন নিপীড়নের মধ্যেও তাঁর যেই কমিটমেন্ট সেখান থেকে তিনি কোনোদিন বিচ্যুত হননি। এজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজও মহিয়ান। তাঁর সন্তান সেই পতাকাকে ধারণ করে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক চেষ্টা করা হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বে ফাটল ধরানোর। কিন্তু তারা তা পারেনি। এটাই আমাদের প্রেরণা। এ সময় বিএনপিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব অপরিহার্য বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
নব্বইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ড. আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুতফুর রহমান, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আসাদুর রহমান খান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, নাজির উদ্দিন জেহাদের বড় ভাই কে এম বশিরসহ সাবেক ছাত্র নেতারা। অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, সহ-স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, হাবিবুর রশীদ হাবিব, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হেলেন জেরিন খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, দক্ষিণখান থানা বিএনপি নেতা দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন, কলাবাগান থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা কিবরিয়া লাকী, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. খালেদ হোসেন ব্যাপারী, পল্টন থানা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হোসাইন আব্দুর রহমান, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. নুরুল হোসেন নুরু, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জেহাদের স্মৃতিস্তম্ভে বিএনপির শ্রদ্ধা : ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বিএনপি। আজ রবিবার সকালে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ জেহাদ চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ৯০-এর ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ জেহাদের স্মৃতিস্তম্ভে ছাত্রদলের শ্রদ্ধা : ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ রবিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, মামুন খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, মহিউদ্দীন রাজু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ, ইডেন কলেজের সদস্য সচিব সাঞ্জিদা আক্তার তুলি, বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কলেজ, মহানগর ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নবগ্রামে। জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, শহীদ জিহাদের আত্মদান আমাদের স্বৈরাচারবিরোধি আন্দোলনের প্রেরণা। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদ পতনের আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিলেন জিহাদ। আজ আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়ছি দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে। যুগে যুগে গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদলের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।