ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে - টুকু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩০ এএম, ৯ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
আজ শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহধর্মিণী বেগম আলেমা খাতুন ভাসানীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মহাফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, সমস্ত বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করছে সরকার। আজকে মানুষের অধিকার নেই, কথা বলতে পারে না। মানুষের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শহীদ জিয়া ভোটের যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন আজকের সরকার তা ভূলুণ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ রাজনীতি করার পরিবেশ এই সরকার বিনষ্ট করেছে এই ভোটারবিহীন সরকার। কাজেই আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। মজলুম, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্র। রাজনীতি উপহার দিয়েছেন। লংমার্চ হয়েছিল মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে। নেপথ্য কাজ করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। মানুষ যে আকাক্সক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল রক্ত দিয়ে, মা বোনের ইজ্জতের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা আজকে হুমকির মুখে পড়েছে। হায়েনা, মিডনাইট, তাঁবেদার সরকারের কারণে। নির্যাতনকারী ও বাকশালী সরকারের কারণে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলেছেন সে জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মামলা। সেই ২ কোটি টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। এখন ৮ কোটি টাকা হয়েছে। তারপরেও রাজনৈতিক কারণে সাজা দিয়েছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা লুন্ঠনকারীরা জামিন পাচ্ছেন। মুক্ত বিহঙ্গের মতো দুর্নীতি করেই যাচ্ছে তারা। সেদিকে খেয়াল নেই। স্মরণসভায় টুকু বলেন, সরকারি দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্য খাতে চরম নিমজ্জিত। মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে করোনাকালে মানুষের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি। বিএনপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে মেহনতি মানুষের পক্ষে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকে। বিএনপি কখনও মানুষের ওপর নির্যাতন চালায়নি।
স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু, পরিচালনা করেন নুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, সহ-সভাপতি এডভোকেট আলী ইমাম তপন, জিয়াউল হক শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, আনিসুর রহমান, খন্দকার রাশেদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলি, শফিকুর রহমান খান শফিক, দপ্তর সম্পাদক মির্জা শাহিন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমুখ।