সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীসহ সকল আটক সাংবাদিককে মুক্তি দিন - মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২১ এএম, ৯ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ) কর্তৃক বিএফইউজের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকদের রুটি রুজির অন্যতম নেতা রুহুল আমীন গাজীর অবিলম্বে সংবিধান অনুযায়ী মুক্তিসহ সকল আটক সাংবাদিককে মুক্তি, সংবাদপত্র অনিয়মিত দেখিয়ে বাতিলের পরিকল্পনা প্রত্যাহার, ৯০টি নিউজপোর্টাল রেখে বাকিগুলো বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে আবেদন অনুযায়ী অনুমতি প্রদান, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সকল আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটা দেশ সুষ্ঠুভাবে চলছে কিনা তা বুঝতে হলে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীরা কতটুকু স্বাধীনভাবে সমালোচনা করতে পারে সেটা দেখলে বুঝা যায়। তিনি বলেন, গত ১২/১৩ বছরে কতজন নাগরিক-এর কর্মসংস্থান হয়েছে, সেটা প্রকাশ হলে উন্নয়ন সুচক বুঝা যাবে। তিনি বলেন মেগা প্রকল্প মানে মানুষ মনে করে, রাষ্ট্রীয় ভাগবাটোয়ারা করাই উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীসহ আটক সকল সাংবাদিকের নাগরিক অধিকার জামিন পাওয়া। অবিলম্বে জামিন দিয়ে সুস্থভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহবান জানান। নয়াদিগন্তের বর্ষীয়ান সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, যেখানে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরিবেশ পায় না, সেখানে সুস্থ সমাজ গড়ে উঠতে পারে না! বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)'র সভাপতি এম,আব্দুল্লাহ বলেন, প্রায় এক বছর হতে চললো সাংবাদিকদের নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন গাজীর নাগরিক অধিকার জামিন টুকু পায় না।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎকারী, সমাজে যাদের নাম শুনলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তাদের অজ্ঞাত কারণে আইনের আওতায় আনা হয় না? তিনি ১১ সাংবাদিক নেতার হিসাব চেয়ে যে বির্তক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিলো, তাদের ব্যাংক হিসাবে কি পাওয়া গেলো তাতো দেশবাসীকে জানানো হলো না!
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের একদফায় মাঠে নামার আগে অদৃশ্য কলকাঠি নাড়ানো বাদ দিয়ে, অসুস্থ রুহুল আমীন গাজীকে মুক্তি দিন। বিএফইউজে'র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীকে মুক্তি দিন। তা না হলে দেশজুড়ে সাংবাদিকরা একদফা আন্দোলনে যাবে।
ঐতিহ্যবাহী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)র সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক সমাজ অবাক হয়, যখন রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তখন রাষ্ট্র বিচার বিভাগ নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারটুকু নিশ্চিত করার আগ্রহটুকু প্রকাশ করে না? অথচ যে সাংবাদিক সমাজ রাষ্ট্রকে কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, তাদের কষ্টটা গণমাধ্যমে তুলে ধরে তারা এখনো কোন অসাংবিধানিক আগ্রাসনের শিকার হলে, তারা কারো কাছে ন্যায়সঙ্গত সাহায্য পায় না।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, আজকে এক বছর হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সমাজের রুটি রুজির আন্দোলনেই শুধু নেতৃত্ব দিয়েছেন তা নয় বরং তিনি পেশাজীবীদের যৌক্তিক দাবিতে সব সময় সরব ছিলেন। তিনি সাংবাদিক সমাজের অবিসংবাদিত নেতা রুহুল আমীন গাজী। তাকে মুক্তি দিয়ে সাংবাদিক সমাজকে পেশাগত কাজ করার পরিবেশ করে দিন। তা না হলে রাজপথে সাংবাদিকদের অবস্থান নিতে হবে।
সহ-সভাপতি বাছির জামাল বলেন, আমরা বিচার বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাই অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীসহ সকল আটক সাংবাদিকের মুক্তির জন্য, আপনারা সকল অপশক্তিকে উপেক্ষা করে নিরপেক্ষতা রক্ষা করুন। তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজশাহীতে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন দেশে ২১০টি অনিয়মিত পত্রিকা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ধরনের চিন্তাভাবনা পরিহার করে, পত্রিকাগুলো অনিয়মিত হওয়ার কারণ উদঘাটন করে সমস্যা দূর করুন, তাহলেই পত্রিকাগুলো নিয়মিত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, গত ১৮ মাস দেশে করোনাকালীন লকডাউন থাকায় অনেক জায়গায় পত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয় নাই। এই সময় পত্রিকা বন্ধের আয়োজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সাংবাদিক সমাজ মনে করে। বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ)-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী বলেন, আ’লীগ ক্ষমতায় আসলেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, গণমাধ্যম, সুস্থ সমাজ গড়ার প্রতিষ্ঠান গুলোকে! আর মর্যাদাশীল রাষ্ট্র ও সমাজকে যারা হরিলুট করার ক্ষেত্রে পরিণত করতে শাসকদের চাটুকার হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম তারাই।
তিনি আরও বলেন, শুধু সাংবাদিক আর রাজনৈতিক নেতারা আজ আ'লীগ থেকে নিরাপদ থাকতে চায় না। বরং গোটা জাতি আ'লীগ এর চাটুকার থেকে মুক্তি চায়।
তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ এ পর্যন্ত নিহত সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। তিনি অবিলম্বে বিচার বিভাগের প্রতি অনুরোধ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীসহ সকল সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার জন্যে আপনাদের হস্তক্ষেপ আসা করছি।
তিনি আরো বলেন,সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, দেশের প্রবীণতম বুদ্ধিজীবী দৈনিক সংগ্রাম-এর সম্পাদক আবুল আসাদ, আমারদেশ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান, দৈনিক সংগ্রাম-এর শাহাদাৎ হোসেন, কাল্পনিক মামলা হয়রানিকৃত সকল সাংবাদিকদের মামলাগুলো সংবিধান অনুযায়ী তা খারিজযোগ্য। এগুলো খারিজ করে বিশ্বে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ এটা তুলে ধরুন। বিজ্ঞপ্তি