খালেদা জিয়ার মুক্তির নয়, হাসিনার পতনের আন্দোলনের আহবান গয়েশ্বরের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৯ এএম, ৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৪ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নয়, শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছি। এখন থেকে আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করবো না। শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন করবো।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তারেক জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত সাড়ে তিন বছর আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছি। এখন থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করবো না। শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন করবো। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পূর্ব শর্ত হলো শেখ হাসিনার পতন। আমাদের নেত্রীর মুক্তি মানেই গোটা জাতির মুক্তি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো কিছুই তোয়াক্কা করে না। দেশের মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা এবং দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা। তাদের এই ধারাবাহিকতা থাকলে এক সময় দেশটাই থাকবে না। সেজন্য আমাদের একটাই শর্ত শেখ হাসিনার পতন চাই, স্বৈরতন্ত্রের পতন চাই, গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। আর গণতন্ত্রের মুক্তি মানেই খালেদা জিয়ার মুক্তি। কারণ সারা বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করে বেগম খালেদা জিয়া মাদার অব ডেমোক্রেসি।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, আমরা সবাই একমত পোষণ করেছি মাঠের আন্দোলনের। এখন শুধুমাত্র একটি ডাকের অপেক্ষা। অর্থাৎ গণতন্ত্র মুক্তি মাঠের আন্দোলনে জন্য যে কাউকে একটা ডাক দিতে হবে।
তিনি বলেন, সবারই একটা শেষ আছে। প্রশাসনের যারা দালালি করে তাদের একটা শেষ আছে। যারা দালালি করে তারা কখনও মর্যাদা পায় না। বর্তমানে প্রশাসনের অনেকেই ক্লান্ত যে দেশে কি হচ্ছে। এখন একা আন্দোলন দরকার তাহলেই দেখবেন প্রশাসন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে প্রশাসনে কিছু কিছু লোক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এ কারণে তারা ফাইট করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এখন আন্দোলন করতে পারলে তারা ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে। মোক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মেজর (অব) সরোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার প্রমুখ।