ফ্যাসিবাদীদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে - পাবনায় ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ৭ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশে ১৯৭১ সালের মত আরও একটি যুদ্ধের মাধ্যমে আধিপত্যবাদী, ফ্যাসিবাদী ও জবরদস্তীদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ও গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখতে লড়াই সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধায় পাবনা প্রেসক্লাবে ছবির গল্পের আয়োজিত স্বাধীনতা শীর্ষক স্বারক পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জবরদস্তিমূলক দখলদার সরকার। ফ্যাসিবাদ সরকারের অধীনে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবেই দেশের অমানিশার অবসান ঘটবে, অন্ধকার কেটে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দূরে থেকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত হয়েছে। বাবার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে বিদেশ থেকেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। শহীদ জিয়া অল্প সময়ের মধ্যে দেশের মানুষের জন্য যুদ্ধ করে জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরে নতুন স্বপ্নে বেঁচে থাকার জন্য বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জিয়ার নেতৃত্বেই দেশ তখন ঘুড়ে দাঁিড়য়েছিল। সেই সময় যারা বাকশাল গঠন করে জাতিকে শোষণ নির্যাতন করেছিল। আজও তারা দেশে আধিপত্যবিস্তার করে আছে। তাদের থেকে দেশে বাঁচাতে হবে। তৎকালিন সময়ে পাবনা জেলায় অনেক তরুণ জীবন দিয়েছিল। গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো তরুণেরা জীবন দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও জাতি গঠনে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি বিকশিত জাতি গড়তে হলে গ্রন্থণা ও পত্রিকা রচনার কোন বিকল্প নেই। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য মানুষকে জানানোর জন্য এই ক্ষেত্রে তরুণ যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে মহিয়সী নারীতে রুপান্তর হয়েছিলেন। আজও তিনি জেল যুলুমের মাধ্যমে গৃহবন্ধী হয়ে রয়েছেন। খুব শীগ্রই তার নেতৃত্বেই দেশ থেকে যুলুম নির্যাতনের অবসান ঘটবে।
দেশে ‘গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন নেই, আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না।’ পুলিশ শুধু বিএনপি-ছাত্রদল নেতাদের আটক করছে। আমাদের লোকজন প্রকাশ্যে মিছিল মিটিং করতে পারছে না। স্বাধীনতা আজ একটি গোষ্ঠীর কাছে আবদ্ধ রয়েছে। ‘একাত্তরে আমরা একটি মুক্ত সমাজ ও পরাধীন নয় এমন সমাজ চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনো এদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়নি। ক্ষমতায় থাকতে সংবিধানকে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন করেছে এই সরকার।’
পাবনার ছেলে খালেদ হোসেন পরাগের এই উদ্যোগকে তিনি স্বাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদেরকে আশান্বিত করেছে।
স্বাধীনতা শীর্ষক স্বারক পত্রিকার প্রকাশ খালেদ হোসাইন পরাগের সভাপতিত্বে ও পত্রিকাটির সম্পাদক আহমেদ মোস্তফা নোমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবীব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জহুরুল ইসলাম বাবু, পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল করিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান, স্থানীয় দৈনিক সিনসার সম্পাদক এসএম মাহবুব আলমসহ প্রমূখ।