বাংলাদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না - হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫১ এএম, ৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৯ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে না। যদি কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। যারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অবমাননা করে তাদের মনগড়া সরকার দেখতে চায়- সেটা আর হবে না।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে মাহবুব-উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান একটি কথা বলছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে না; কিন্তু আমি বলতে চাই এই কথাটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া একাধিক জনসভায়ও বলেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই বেগম খালেদা জিয়া ৩০-এর নিচে আসন পেয়েছিলেন। তারা জানে আগামী নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভ করার বা বিজয়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তারা জনগণ থেকে ধিকৃত আবারও হবেন। কারণ তারা দেশের জন্য বা জনগণের জন্য এমন কোনো কাজ করেন নাই যে, জনগণ তাদের ওপর আস্থাশীল হবে বরং তাদের প্রতিটি কুকর্ম, সন্ত্রাস-নাশকতা, দুর্নীতির জন্য এবং পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যার কারণে তারা জনগণ থেকে এতটাই দূরে সরে গেছে। আগামী নির্বাচন তো দূরের কথা তাদের জীবদ্দশায় আর কোনোদিন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাই সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করুক এবং তাদের পছন্দের দলকে নির্বাচিত করুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের সঞ্চালনায় আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরবিক্রম।