মানুষ আপনার কবর রচনা করবে আগামী নির্বাচনে- ওবায়দুল কাদেরকে কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ১ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, পুলিশের প্রতি অনুরোধ করব। আপনারা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবেন না, কারো টাকা খেয়ে। এগুলো বন্ধ করেন, নিরপেক্ষ থাকেন। এসপি সাহেব ও ওসি সাহেব কতো কত টাকা খেয়েছেন? বলে সব উপরের নির্দেশ। উপরে কি ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিয়েছে। দিতে পারে। উনিতো সারাদিন মিথ্যা কথা বলে, মিথ্যুক। আমার কাছে ২ মাস আগে যে ওয়াদা সে করেছে একটাও পূরণ হয়নি। আর তার গুনধর স্ত্রী দুর্নীতিবাজ ইসরাতুন্নেসা কাদেরের নির্দেশে আজকে পুলিশ অবৈধ খালের জায়গা দখলের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
আজ শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, আজকে কোম্পানীগঞ্জে যে অবস্থা চলছে এটা থেকে আমাদেরকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলন করে আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে। এটার বিকল্প নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়াত খান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবীকে দল থেকে অনেক আগেই রেজুলেশন করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে বাদলকে বিতাড়িত করা হয়েছে স্বর্বসম্মতিক্রমে।
তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী বলে তাদের সাথে আমার ছয় মাসেও দেখা হয়নি, এক বছরেও দেখা হয়নি। এখন কি খেলা দেখালেন মিনিস্টার সাহেব, ভানুমতীর খেল খেলছেন? সব চোখ নিয়ে ভাইচালি করিয়েননা। আমনের খবর সবাই জানে। আপনার সকল তথ্য আমার কাছে আছে। ধমকি দিয়েন না। আমি জায়গা মত পৌঁছাবো। আপনি কি মনে করছেন? বুড়াকালে কি ভিমরতি হয়েছে? নিজেকে বিলীন করে দিতে চান? এগুলো করলে এখানে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ আপনার কবর রচনা করবে আগামী নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে দাঁড়াবার সুযোগও পাবেন না। আপনার কবিরহাটেও আমরা অনুরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করবো। এগুলোর জবাব পরবর্তী নির্বাচনে আপনাকে দিতে হবে। পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওবায়দুল কাদের আজকে তোমাকে আওয়ামী লীগের নেতা বানাইছে। নেতা গিরি করার জন্য আসিও। একদিন তো বাঁচাই দিছি। চোড়ি মেরে ফেলতো। তোদের পনেরটারে চোড়ে মেরে ফেলতো। ভুল করছি। এ পনেরটারে বাঁচাই না দিতাম আজকে এ গুলা আমাকে আর ফেস করতে হতোনা। চড়ি চাড়ি সারাই ফেলতো। নয় মার্ডার কেইস হতো, না হয় আহত হলে মামলা হতো। কিছে, আমরা মার্ডার কেইস অনেক ফেস করছি।