আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মানুষ মুক্তি চায় : শামীম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সরকার মামলা, হামলা, গুম ও খুন নির্যাতন চালাচ্ছে। মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করে দেশে রামরাজত্ব করছে সরকার। এর থেকে উত্তোরণের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের মানুষ এখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি চায়। তাই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বকে সামনে রেখে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে মানুষের মুক্তির পথ বের করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের ২২ নং রোড়স্থ হাজী মো. হোসেনের বাসভবনের সামনে ডবলমুরিং থানা বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। রাজনৈতিক দলের উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিএনপির সভা সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ সংগঠনই পারবে আন্দোলন সংগ্রামে সফলতা অর্জন করতে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশের নতুন ও শিক্ষিত প্রজন্ম পরিবর্তন চায়। তাদের প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকে সে পথেই রাজনীতি করতে হবে। নতুন প্রজন্মের চাওয়াগুলোকেও প্রাধান্য দিতে হবে। রাজনৈতিক নীতি বা উদ্দেশ্যটা তাদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির রাজনীতিতেও পরিবর্তন শুরু হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এবার তৃণমূল পর্যায় থেকে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। ফলে অঙ্গসংগঠনগুলোর কাঠামোতেও নতুনত্ব আসবে। বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করা হবে। আন্দোলন সংগ্রামে যাদের ভূমিকা আছে তাদেরকে যোগ্য পদে দায়িত্ব দেয়া হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমেই কমিটি গঠন করা হবে। ত্যাগী, যোগ্য, পরিশ্রমী নেতাদের মূল্যায়ন করতেই বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংগঠনের সবপর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অতীতে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তামাশার নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। নির্বাচন কমিশন সরকারের হাতের পুতুল হিসেবে অতীতের সকল নির্বাচনে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে আগামীর নির্বাচন হতে হবে।
ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. সেকান্দরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়ার পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম.এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস.এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মো. খান, মো. কামরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, ইকবাল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আবদুল মাবুদ, বুলবুল আহম্মদ, ফাতেমা বাদশা, হাজী মো. হোসেন, থানা বিএনপির সি. সহসভাপতি শামসুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মো. জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দীন সোহেল, ইকবাল হোসেন, ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, হাজী মো. মহসিন, এস এম ফরিদুল আলম, এস এম জামাল উদ্দীন জসিম, সাধারণ সম্পাদক মন্জুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।