ঢাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, ‘আত্মহত্যার’ হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক এম নজরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক কেন্দ্রীয় নেতা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
গত রোববার মধ্যরাতে ভিসি চত্বরের সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মহিন উদ্দিন ও তার সঙ্গে থাকা মহানগর ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল। জানা গেছে, এম নজরুল ইসলাম ও মো. মহিন উদ্দিন, তারা দুজনেই কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে থেকে জয় ভাইকে সালাম দিয়ে টিএসসির দিকে যাওয়ার সময় ভিসি চত্বরের সামনে আসলে তিনি (মহিন উদ্দিন) আমাকে ডাক দেন। উনার সঙ্গে কথাবার্তা বললাম, হাসাহাসি করলাম। তার পাশ থেকে এক জুনিয়র এসে হঠাৎ আমার গায়ে হাত তুলল। পরে জেনেছি, সেই জুনিয়র মহানগর ছাত্রলীগের। আমার হাতে একটা রিং ছিল, সেটাও পড়ে গেছে। মারার পর তিনি সেই জুনিয়রকে বাইকে করে পাঠিয়ে দিলেন।
পূর্ব বিরোধ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনার সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলা ছিল না। আমাদের সম্পর্কও ভালো ছিল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমনটি ঘটে গেল। তিনি আমাকে মারতে পারতেন, কিন্তু জুনিয়র দিয়েই আমাকে মারল। জয় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ব্যাপারটা নিয়ে বসবেন বলেছেন।
বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জয় ভাইয়ের কাছে আমি বিচারের দাবি জানিয়েছি। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফোন দিয়েছিল, কিন্তু ধরতে পারিনি। পরে আমি কল করছিলাম ফোন রিসিভ হয়নি। আপার (শেখ হাসিনা) জন্মদিন নিয়ে হয়তো ব্যস্ত। আপার জন্মদিন শেষে আমি সুষ্ঠু বিচার না পেলে, আমার যা করার দরকার করব। আমি কোনোভাবেই এই অন্যায় মেনে নেব না।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরুল ইসলাম লিখেন, আমি আমার প্রাপ্য বিচারটা চাই, আমি অবাক হয়েছি এমন অবস্থা ছাত্রলীগের একজন সিনিয়র কেমন করে করতে পারে। বিচার না পেলে এর ভয়াবহতা এবং প্রাপ্য বিচার আমার জীবন দিয়ে হলেও ব্যবস্থা করব। অভিযুক্ত মহিন উদ্দিনকে ফোন দিলে তিনি হাসপাতালে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টা জেনেছি, নেত্রীর জন্মদিনটা পার করে আমি আর সভাপতি এটা নিয়ে বসে সমাধান করব।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।