প্রয়াত বিএনপি নেতা হান্নান শাহ্’র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার, মহাসচিবের বাণী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:০৫ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী, ১/১১’র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মহানায়ক, সাবেক সফল মন্ত্রী, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ্’র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার।
এ উপলক্ষে হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণ সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান। আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদ ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন।
এছাড়া আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার হান্নান শাহ্’র পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সকাল থেকে দিনব্যাপী মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেফা পাঠ, কুরআনখানী, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিএনপি দলীয় সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খিদের উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছেন কাপাসিয়া বিএনপির অভিভাবক হান্নান শাহ্ পুত্র শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ।
এদিকে প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহ'র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-
"শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহকর্মী ও সহযোদ্ধা (অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী) আ স ম হান্নান শাহ'র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা।
দেশ ও জাতির প্রতিটি প্রয়োজনের মূহুর্তে তিনি অসম সাহস ও দেশপ্রেমে দীপ্ত হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আজীবন তিনি যোদ্ধা সেনানায়কের ভূমিকাই পালন করে গেছেন। বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, অকুতোভয় সেনানায়ক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে কতিপয় বিপথগামী সৈনিক নৃশংসভাবে হত্যার পর তৎকালীন সামরিক অফিসার আ স ম হান্নান শাহ শহীদ জিয়ার লাশ রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসতে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
জাতীয় জীবনে বর্তমান ক্রান্তির সময়ে তাঁকে যখন খুবই প্রয়োজন ছিল, তখন তিনি আমাদের মাঝে নেই। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, দেশ হারিয়েছে জাতীয় স্বার্থরক্ষার এক দেশপ্রেমিক অধিনায়ককে, জাতি হারিয়েছে তার এক সাহসী সন্তানকে। এ ক্ষতি সহজে পূরণ হবার নয়।
স্বৈরাচার বিরোধী ৯০'র গণঅভ্যূত্থানের একজন অগ্রবর্তী সংগঠক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভার সদস্য, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন এর অবৈধ সরকার বিরোধী সংগ্রাম সূচনাকারী একজন বলিষ্ঠ কন্ঠ এবং বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে মরহুম হান্নান শাহ অনেক স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ও অবদান ইতিহাসে চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।
আমরা যদি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ভোটাধিকারের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলেই হান্নান শাহ'র আত্মা শান্তি পাবে এবং তাঁর প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমি হান্নান শাহ'র মৃত্যুশোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।"