জনগণ যতদিন চাইবে আওয়ামী লীগ ততদিন দেশ শাসন করবে - তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৮ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জনগণ যতদিন চাইবে আওয়ামী লীগ ততদিন দেশ শাসন করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য- ‘আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে, এর একদিনও বেশি নয়। গত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়েছে, প্রতিটি নাগরিকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ বঙ্গবন্ধু-কন্যা ও আওয়ামী লীগের ওপর সন্তুষ্ট। পেট্রলবোমা দিয়ে জীবন্ত, ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী, অবরোধের নামে মানুষকে অবরুদ্ধকারী বিএনপির সাথে তো জনগণের থাকার কথা নয়। বিএনপি নিজেরাই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দল দমনেও আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সন্ত্রাস, পেট্রলবোমা নিক্ষেপকারী বা ফৌজদারি অপরাধের আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি বিএনপি অপরাধীদের পক্ষ নেয়, তাহলে তো দেশে কোনো ফৌজদারি আইনই কার্যকর করা যাবে না, বিচারও থাকবে না। সুতরাং বিএনপির এসব কথা হাস্যকর। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে সাম্প্রতিক যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সে প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ কোথাও নেই।
সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, জিয়ার লাশ কেউ দেখেননি। হাছান মাহমুদ বলেন, আমি রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, যেখানে জিয়াকে প্রথম সমাহিত করা হয় বলে বিএনপি দাবি করে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তখনকার চেয়ারম্যান জহির সাহেব এখনো জীবিত।
তিনি বলেছেন, তিনটি লাশ সেখান থেকে তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না। এরশাদ সাহেব এবং জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মীর শওকত দুজনেই বলেছেন, তারা কেউ জিয়ার লাশ দেখেননি।
চন্দ্রিমা থেকে কবরটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, লাশ ছাড়া কবর দাবি করা যেমন জনগণের সাথে প্রতারণা, তেমনি ইসলামের নিয়ম-নীতিবিরুদ্ধ। লাশ ছাড়া কবর রাখার কোনো কারণ আছে কি না, সেটিই জনগণের প্রশ্ন।