‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কলঙ্কিত অধ্যায় সীমান্ত হত্যা’-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৭ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:২৬ এএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ, তবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডসহ কিছু নেতিবাচক কারণে তা কলঙ্কিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি মনে করেন, তিস্তা চুক্তি ও সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হওয়া বাংলাদেশের মানুষকে হতাশ করে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা-মোদী ভার্চুয়াল সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে সব কিছু প্রস্তুত। এ বিষয়ে ভারত সবার সাথে পরামর্শ করে যাচ্ছে। তারা বিশ্বাস করে রোহিঙ্গা ইস্যুরও দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। নিরাপত্তা কাউন্সিলের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন সীমান্তে কোনও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।’ আমরা তাদের বিশ্বাস করতে চাই। আমরা চাই না একজন লোকও সীমান্তে মারা যাক। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এ ধরনের ঘটনা বার বার হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে এত সুন্দর সম্পর্ক। কিন্তু এগুলো সম্পর্ককে কলঙ্কিত করে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে কুশিয়ারা নদীতে বাংলাদেশের খাল খনন কাজে বিএসএফের বাধা তুলে নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন। সীমান্তে নরেন্দ্র মোদির সরকার কোন প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে নির্দেশ দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তে যাতে কোন নিরীহ মানুষ প্রাণ না হারায় সেজন্য যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলেও জানানো হয়।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে ঢাকা আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এসময়, বাংলাদেশের মানুষকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।