ভোট ডাকাতির নির্বাচন আর বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না - মাহবুবের রহমান শামীম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা জনগণের ভোট ডাকাতি করেছে। বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতেছিল কিন্তু গণতন্ত্র পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখানে কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। দেশের সবকিছু দলীয়করণ হয়ে গেছে। তারা যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। কিন্তু আগামীতে বাংলাদেশে আর কোন প্রতারণার নির্বাচন দেশের মানুষ মানবে না। একদলীয় শাসন জনগণ আর মানবে না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তাই, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। ভোট ডাকাতির নির্বাচন আর বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না।
আজ সোমবার বিকালে নগরীর মুরাদপুর মোড়স্থ মেহমান কমিউনিটি সেন্টারে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তাই হারানো গণতন্ত্র ফিরে আনার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আজকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। ২০১৮ সালে আগের রাত্রেই সব ভোট চুরি করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো দলই অংশগ্রহণ করেনি। ১৫৪ জনকে অগ্রিম নির্বাচিত ঘোষণা করে জনবিচ্ছিন্ন একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু আগামীতে এই অবস্থার শেষ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের জনগণ কোনো দিনই পরাধীনতা মেনে তাদের অধিকারকে হারিয়ে তারা নিশ্চুপ থাকেনি। হয়তো সময় লেগেছে কিন্তু সেই সময়ের অবসান হয়েছে। তিনি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী আদায়ে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে প্রস্তত থাকার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বলেন, বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরে ফের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। চট্টগ্রামে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে। কিন্তু সে তুলনায় পদের সংখ্যা কম। তাই যোগ্য এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে সরকার উন্নয়নের নামে দেশে লুটপাট চালাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিনা অপরাধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। কিন্তু আমরা শহীদ জিয়ার লক্ষ কোটি কর্মীরা বেচে থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শেষ হতে দিতে পারি না। আমাদেরকে গর্জে উঠতে হবে। অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এসএম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আশরাফ চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, মন্জুর আলম মন্জু, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী, আবু মুছা, আবদুল হাই।