বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৪ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪.৩০ মি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে-
১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
২. ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার
৩. মির্জা আব্বাস
৪. বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
৫. ড. আব্দুল মঈন খান
৬. জনাব নজরুল ইসলাম খান
৭. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৮. আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
৯. বেগম সেলিমা রহমান
১০. জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিম্ন বর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায় বিগত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায়, চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউজে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নামে থাকা যাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে বলে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নির্মম ভাবে হত্যার পর তৎকালীন সরকার সার্কিট হাউজটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। এটা ছিল জনগণের দাবীর ভিত্তিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষকের প্রতি জাতির সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন। যাদুঘর সরানোর হীন সিদ্ধান্ত কোন দিনই জনগণ মেনে নেবে না।
৩। সভা মনে করে, 'উপহারের ঘর যারা ভেঙ্গেছে তাদের তালিকা হাতে রয়েছে' প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মানে দূর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ দলীয় ঠিকাদার ও দলবাজ আমলাদের দূর্নীতি ও পক্ষে সাফাই গাওয়ার শামিল। প্রকৃত পক্ষে দূর্নীতিকে এখন রাষ্ট্রীয় ভাবে সমর্থন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার দূর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে। সভায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
৪। সভায়, সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ দলের বহুসংখ্যক নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।
৫। গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক শাহিবর রহমান নামে এক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনেই এই সকল হত্যাকান্ড বিষয়ে কখনও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি। সভ্য পৃথিবীর কোনও দেশে সীমান্তে এই ভাবে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় না। এটা আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী। সভায়, এই ধরনের ন্যক্কার জনক হত্যাকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য ভারতীয় কতৃপক্ষকে বাধ্য করতে সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
সভা শেষে সভাপতি সকল সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।