নোয়াখালী আ.লীগের কমিটি নিয়ে পাতানো খেলায় কেন্দ্রীয় নেতারা : কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে পাতানো খেলায় মেতেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। গত দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিয়ে অপরাজনীতির হোতাদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এভাবে চলতে দেয়া যায় না।
আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, শুনেছি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে আহ্বায়ক, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্যাহ খান সোহেল ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হচ্ছে। কিন্তু এরা সবাই সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর তল্পিবাহক। এরাই একরামকে অপরাজনীতি শিখিয়েছে।
তিনি বলেন, এতদিন বললো দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত আসবে। এখন শুনছি কে নাকি বিদেশে, আগামী ২০ তারিখ হবে। সেদিনও হয়তো বলবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নেই, পরে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে।
কাদের মির্জা বলেন, চৌমুহনী জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। সেখানেও আরেক এমপি মামুনুর রশীদ কিরন ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়সালের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চলছে। এছাড়া সেনবাগ, সুবর্ণচরসহ বিভিন্ন উপজেলায় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বের সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার লোকজনকে গ্রেফতার করলে হত্যাসহ ১৭ থেকে ১৮টা মামলা দেয়। আর প্রতিপক্ষের কেউ গ্রেফতার হলে পাঁচ থেকে ছয়টা মামলা দেয়। ওদের সহজে জামিন হয়ে যায় আর আমার লোকরা দীর্ঘদিনেও জামিন পায় না। এই পৌর মেয়র বলেন, আমাকে হত্যার চেষ্টা হলো, আমার ছেলেটাকে মারলো, আমার স্ত্রী- মেয়ের চরিত্র হনন করে ফেসবুকে দিলো। আমি এসব বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি। কিন্তু আজও বিচার পাইনি।
বিগত নয় মাস থেকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ বিশেষ করে জেলা সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সমালোচনা করে আসছেন। এ নিয়ে দলের প্রতিপক্ষের সঙ্গে সহিংসতায় দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।