সিরাজগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো দলীয় অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলণ, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
এই সকল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন মহিলাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রুমানা মাহমুদ।
ভোরে শহরের ইবি রোডস্থ দলীয় অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। বেলা সাড়ে ১১ টার সময় দলীয় অফিসের সামনে বেগম রুমানা মাহমুদের নেতৃত্বে মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতিকৃতি মাল্যদান করেন।
এ সময় মহিলা দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। বিকালে দলীয় অফিসে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও জেলা মহিলা দলের নেত্রী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমিন হাসির সভাপতিত্বে মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু করা হয় এবং এর পর সম্মিলিতভাবে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জেলা মহিলা দলের নেত্রী সাবেক পৌর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জোসনা মন্ডলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রুমানা মাহমুদ বলেন, "বিশ্বে যা কিছু মহান চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর " জাতীয় কবির এই অমর বাণীর প্রতি বিশ্বাস রেখেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নারীদের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতন দেশে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশের নারী সমাজকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মানের পথ প্রথম দেখিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে জিয়ার সুযোগ্য সহধর্মিণী ও তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বর্ধিত করে 'মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে' রূপান্তরিত করেন। মহিলাদলকে শক্তিশালী করে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সংগ্রামী নারীদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করার জন্য আহবান জানান বেগম রুমানা মাহমুদ।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদলু হাসান রঞ্জন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তাফাজামান, আওয়ামী দুঃশাসনে দুচোখ হারিয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধতাবরণকারী জেলা মহিলা দলের নেত্রী মেরিনা বেগম মেরী, জেলা মহিলা দলের নেত্রী সাবেক পৌর মহিলা কাউন্সিলর এলেনা বেগম, সাবেক পৌর মহিলা কাউন্সিলর সালমা বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ ও জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা নুরুন্নবী।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা নোমান আলাল, দপ্তর সম্পাদক তানভির মাহমুদ পলাশ, সহ দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক দুলাল উদ্দিন আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক আকাশ খন্দকার সহ আরো অনেকে।
বাদ মাগরিব দোয়া মাহফিলে কোরআন তেলোয়াত করেন মারিয়া আক্তার প্রীতি ও দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা নুরুন্নবী।