ইসির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের তাগিদ ডা. জাফরুল্লাহর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৮ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫০ এএম, ৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সত্যিকারের নির্বাচন কমিশনের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ও মানবাধিকার কর্মী, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সুলতানা কামালের নাম প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, সত্যিকারের নির্বাচন কমিশন করতে হলে আমাদেরকে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার নয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ রেহেনা, তার ছেলে, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির যারা আছে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করেন।
আজ সোমবার দুপুরে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক ও তার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় স্মরণ মঞ্চ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতির সামনে কঠিন সমস্যা আছে। এক দিকে করোনা আরেকদিকে ডেঙ্গু। আরেকটা নতুন ভাইরাস; নিপা ভাইরাস। তিন রোগেরই চিকিৎসা সহজ। করোনায় সবাইকে টিকা দিতে হবে। সস্তায় টিকা পাওয়া যায়। কিন্তু সস্তায় টিকা কিনলে সরকারের পকেট ভরে না। তাই তারা কিনবেন না। ডেঙ্গুর চিকিৎসা ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল। মশারি টানাতে হবে আর প্যারাসিটামল খেতে হবে। এটাই চিকিৎসা কিন্তু এই প্যারাসিটামল বাজারে পাওয়া যায় না। আজ যদি ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল পাওয়া না যায় তাহলে উন্নয়ন কতটা হয়েছে ভেবে দেখেন?
ডেঙ্গু জ্বর থেকে সবাইকে সাবধান করে তিনি বলেন, আপনারা মশারি টানিয়ে ঘুমাবেন। যে কোনো ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খাবেন। গণতন্ত্রহীনতা আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনের নির্বাচন নিয়ে সরকার নতুন পরিকল্পনা করছে। কারো ভোট দিতে হবে না। এই যে গণতন্ত্র হত্যা করলো। এই হত্যাটা কে করেছে? সেই ঘুষখোর, লুটপাটাকরীর নাম কী? তিনি হচ্ছেন খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি)। জাতিকে শেষ করে দিয়েছে। খায়রুল হকের বিচার হওয়া দরকার। একজন লোক হত্যা করলে ফাঁসি হয়, জেল হয়। আমি ফাঁসির বিরুদ্ধে, তাই তার আজীবন সশ্রম কারাদন্ড হওয়া উচিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করায় আটক ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরেকটা বাজে লোক বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তার সাথে আমরা দেখা করতে গিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করেছিল, তাদের জামিনের জন্য। প্রধান বিচারপতি বললেন বিচারে হাত দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। বিচারে তো হাত দিতে বলছি না। তাদের জামিনটা দিয়ে দেন। তিনি বললেন বিচারে হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
সংগঠনটির সভাপতি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলেন সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।