সরকার যেমন ভুয়া, করোনার সার্টিফিকেটও ভুয়া-মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৪ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০১:২৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকার যেমন ভুয়া, করোনার সার্টিফিকেটও ভুয়া বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির এতো বড় একটা দুর্যোগ, সারা বিশ্ব চিন্তিত। কিন্তু সেখানে আমাদের দেশের সরকার রোগের পরীক্ষাই করাতে পারছে না। হাসপাতাল নেই, হাসপাতাল থাকলেও পরীক্ষা করার যন্ত্র নষ্ট হয়ে আছে, না হয় চিকিৎসক নেই অথবা সমস্ত ভুয়া হাসপাতাল তৈরি হয়ে আছে।
আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, দিনের বেলা যে ভোট হওয়ার কথা তারা (বর্তমান সরকার) আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে নিল। তারা তো নির্বাচিত সরকার নয়। তারা ডাকাতি করে নিয়েছে। তারা ডাকাত এবং সরকারও ডাকাত দলের সরকার। কারা আমাদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে? যাদের নিজেদেরই কোনও বৈধতা নেই। বৈধ সরকারের জন্য আমরা আন্দোলন করছি।
তিনি বলেন, সারা দুনিয়ার মানুষ বাংলাদেশকে এখন ঘৃণা করে, আমাদের থেকে তারা দূরে থাকতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ বিদেশের মাটিতে পা দেয়ার আগে দশবার করোনা পরীক্ষা করতে হয়। এরপর তারা বলে তোমাদের দেশের কাগজ দেখাও। কাগজ দেখালে বলে এটা ভুয়া রিপোর্ট। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, বর্তমান সময়ে করোনা বেড়েছে, কিন্তু সরকার কি হাসপাতালে বাড়িয়েছে? বাড়ায়নি। আইসিইউ বাড়েনি, অক্সিজেন বাড়েনি। তাহলে এই সরকারের ওপর আমাদের ভরসা কোথায়? সরকার আমাদের কোভিড-১৯ থেকে বাঁচাতে পারবে না। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসকেরা বলেন, আগে করোনার রিপোর্ট আনেন। এই করোনার রিপোর্ট পেতে গেলে কারো তিনদিন, পাঁচদিন আবার কারো কারো দশদিনও লাগে। এজন্য একজন মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পায় না। তার মানে বলা যায়- এ দেশের মানুষের অসুখ হলে চিকিৎসা পাবে না। ভোটের আগে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিল সরকার, কিন্তু এখন সেই চালের কেজি ৬৫ টাকা।
সরকারের উদ্দেশ্যে পদ্মা সেতু বিষয়ে মান্না বলেন, পদ্মা সেতু যখন বানাতে চেয়েছিলেন তখন বলেছিলেন পদ্মা সেতু বানাতে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু পদ্মা সেতুর এই পার থেকে ওই পারে শুধুমাত্র স্প্যান বসাতে গিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাহলে পদ্মা সেতু চালু করতে কত টাকা লাগবে? আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন দেশের প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রমুখ।