চট্টগ্রামের চন্দনাইশে যুবলীগ নেতার প্রকাশ্যে গুলির ভিডিও ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের শোক সভায় গোলাগুলির ঘটনায় যুবলীগ নেতার প্রকাশ্য গুলির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
পিস্তল হাতে গুলি ছোড়া ওই নেতা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গিয়াস গা ঢাকা দেন। তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি অবৈধ বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গিয়াসকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক যুবক প্রকাশ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করছেন। রাস্তার ওপর তখন আগুন জ্বলছে। তাতে কিছুক্ষণ পরপর কেরোসিন ঢেলে দিচ্ছেন কয়েকজন যুবক। এ সময় দলীয় স্লোগান দেওয়া হয়। এই ভিডিও দলের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
জানাযায়, গত ৩০ আগস্ট উপজেলার হাসিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাগিচাহাট পেট্রোলপাম্পসংলগ্ন হল-২৪ এ জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর শোকসভা ও ২১শে আগস্টের শহীদদের সরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহাফিলের আয়োজন করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানের শেষ আংশে সভাপতি মাহাবুবুল আলম বাবুলের বক্তব্য দেওয়ার সময় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির পদ বঞ্চিতছাত্রলীগ কর্মী ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয়পক্ষ গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর করে শোকসভা পন্ড করে দেয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জনু ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার লোকমান হাকিম ও যুবলীগ নেতা নুরূল আমিনসহ চারজন আহত হন।আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে সাবেক যুবলীগ নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন সুজন সভা শেষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর বাগিচাহাট অংশে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল প্রায় এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেন। এ সময় প্রকাশ্য সড়কের উপর যুবলীগ নেতা আস্ফালন করে শতশত লোকের সামনে হাত উঁচিয়ে আকাশের দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। হঠাৎ সড়ক অবরোধ করলে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী দূর-পাল্লারবাস যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।আওয়ামী লীগের শোকসভায় গোলাগুলির ঘটনায় যুবলীগ- ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আবুল ফয়সাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহানগীর বলেন, গিয়াস উদ্দিন সুজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম বলেন, গিয়াস উদ্দিন সুজন উপজেলা যুবলীগ কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তবে এক সময় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি।
জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।