শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে রুচিহীন মিথ্যাচার করে আ'লীগ -ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ এএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১০ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে রুচিহীন মিথ্যাচার করে আওয়ামী লীগ প্রকারন্তরে মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। এরা মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধে যাদের কোন অবদান নাই তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলছে। তারা ভোট ডাকাতির মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ডাকাতি করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিনি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বিএনপির ৪৩ তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার জন্যই মন্ত্রীবর্গ শহীদ জিয়াকে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। দেশের মানুষ যেন এক হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের রাজত্বে বসবাস করছে। তাদের মতো লোকদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিষোদগার, চরিত্র হনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি। তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সমূহের দায়িত্ব দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই অপমাণিত করা হচ্ছে। শহীদ জিয়া, তার নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্স, সেক্টরের সাহসী ও গৌরবজনক অবদান নিয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যাচার যারা চালাচ্ছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। জাতি তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের দল। শহীদ জিয়া চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে বীর জাতি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের এই লাগামহীন মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ জনগণ ভাল করেই জানে। দেশ পরিচালনায় তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা, ভয়াবহ দুঃশাসন, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও লুটপাটকে আড়াল করতে এবং করোনা মোকাবিলা, টিকা সংগ্রহে ব্যর্থতা, চিকিৎসা সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এ ধরনের মিথ্যাচারের নেশা পেয়ে বসেছে বর্তমান গণধিকৃত সরকারকে। এ ধরনের নির্লজ্জ বক্তব্য জাতির সঙ্গে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা জনগণের নিকট হাস্যরসের পাত্রে পরিণত হচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস.কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, নগর বিএনপির নেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শিহাব উদ্দীন মুবিন, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এস সারোয়ার আলম, হাজী নুরুল আকতার, থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. সাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দীন জিয়া, শরীফ উদ্দীন খান, মনির আহমেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, হাবিবুর রহমান, নগর বিএনপির নেতা একেএম ফেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙালী, আবু মুছা, আলী আজম চৌধুরী, আরিফ মেহেদীসহ ৪৩ ওয়ার্ড় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।